রাজশাহী বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমলা বাজারে নির্মাণকৃত ভোগদখলীয় দোকান ঘর জোরপূর্বকভাবে দখল করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানার অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমলা গ্রামের মৃত সাকোয়াত হোসেন ১৯৮৪ সালে একই গ্রামের মৃত ছলিমউদ্দিনের কাছ থেকে আর এস খতিয়ান নং ২০৪, ও আর এস দাগ নং ১৩১৪ জেল নং ৪০ থেকে ৮.৫০ শতক জমি ক্রয় করে ৩৬ বছর ধরে শিমলা বাজারে দোকান ঘর নির্মাণ করে সাকোয়াত হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন ভোগদখল করে আসছে।
এর মধ্যে প্রতিপক্ষদ্বয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অভিযোগকারি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন গং এর ভোগদলীয় শিমলা বাজারে দোকান ঘর দখলের পায়তারা শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাকোয়াত হোসেন মৃত্যুর পরে তার ওয়ারিশগণ উক্ত সম্পত্তির সরকারিভাবে খাজনা খারিজ পরিশোধ করে বৈধতার সহিত ভোগদখল করে আসছে । এ ব্যাপারে সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে অভিযোগ কারী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আজ থেকে প্রায় ৩৬ বছর ধরে আমার পিতা সহ আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি আমরা ভোগ দখল করে আসছি, তাতে প্রতি পক্ষের কোন ওয়ারিশগণের বাধা নেই। হঠাৎ করে আমরা যখন বাজারে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে একটি ঘর নির্মাণ করতে যাচ্ছি ঠিক তখনি বিবাদীগণ অবৈধভাবে আমাদের ঘর নির্মাণে বাধা দিয়ে প্রাণনাশকের হুমকি দিচ্ছে।
এই বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মীমাংসার করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ বিবাদগণ কোন রায় মেনে নেন না। এই ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, আমরা আইনের বাহিরে নয়, আইনের মাধ্যমে যেটি হবে আমরা সেটা মেনে নিতে বাধ্য। এই জন্যই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এই বিষয়টি জানার জন্য সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আজহার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সম্পত্তির শক্তি হচ্ছে কাগজপত্র। কাগজপত্র ও আইনের ধারার দিক দিয়ে যিনি এগিয়ে থাকবে তিনিই সম্পত্তি পাবেন। এখানে দুই নম্বরি কোন অপশন নেই।
উক্ত বিবাদমান বিষয়টি নিয়ে বিবাদী মোঃ জামাল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা ও একই খতিয়ানের প্রজা মৃত সুন্দরী বেওয়ার কাছ থেকে জমিটা কিনেছি। কিন্তু ১৩১৪ দাগের জমিটি আমাদেরকে সাজ্জাদ হোসেন গং দখল দিচ্ছে না। তাই আমরা ও জমিটি দখল নেওয়ার জন্য বাগমারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পাশাপাশি শিমলা বাজারে বিবাদমান বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন দোকানদারে সাথে কথা হলে তারা জানান অচিরেই বিষয়টি মীমাংসা না হলে যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘাত সংঘটিত হতে পারে। এই বিষয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ মোস্তাক আহমেদ কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি, তাই বিষয়টি গুরুত্বর সহিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বার্তা প্রেরক
মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি