নওগাঁয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনিসহ জেলা বিএনপির তিন নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর দুই আসামী হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু ও নওগাঁ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান।বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় এর আগে হাইকোর্ট থেকে তিন মাসের আগাম জামিন নিয়েছেন আসামিরা। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিম্ন আদালতে আবারও আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আশরাফুল ইসলাম সেই আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তিসহ ও জনসাধারনের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গত ৩০ মার্চ নওগাঁ সদর থানায় মামলা হয়। পৃথক দুই মামলায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরও অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. রফিকুল ইসলাম জানান, মামলার অন্য আসামিরা জামিনে আছেন। আশা করা হচ্ছিল আদালত এই তিন আসামিকেও জামিন দেবেন। কিন্তু তা না করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন নজমুল হক সনি, জাহিদুল ইসলাম ধলু ও মিজানুর রহমানের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। তবে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, এই তিন আসামীর জামিনের কোনও সুযোগ ছিলোনা। এই মামলার অন্য আসামীরাও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটে বের হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ মার্চ দুপুরে নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। হেফাজত কর্মী নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ওই দিন তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলো বিএনপি নেতা কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়।
বার্তা প্রেরক
আব্দুল মজিদ মল্লিক
স্টাফ রিপোর্টার