শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়ে প্রভাষক সাবিনা ইয়াসমীন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে বিএন কলেজের শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ আ.ফ.ম আলিমুজ্জামানের স্ত্রী ঐ কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাষক মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমীন (বিভা)। গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের বিষয়ে আলোচনা কালে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে গত ২৮ আগষ্ট ঐ কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এইচ এস সি ২০২১ সালের পরীক্ষার ফরম পূরণের দাবিতে মানব বন্ধন করেন। মানব বন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়ে বলেন, “আমাদের টাকা কেন অধ্যক্ষ আলিমুজ্জামান ও তার স্ত্রী প্রভাষক মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমীন এবং আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে নিয়েছেন? এবং কেন এখন পর্যন্ত আমাদের টাকা আমাদের মোবাইলে দেওয়া হয়নি এমনকি এ পর্যন্ত সেই টাকা তাদের কাছে রয়েছে।”

মানব বন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের ফরম পূরণের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন আমাদের এবার পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করা অনিশ্চিৎ হয়ে পড়েছে তাছাড়া অধ্যক্ষ আলিমুজ্জামানকে একজন দূর্নীতি পরায়ন আখ্যা দিয়ে বলেন তিনি কলেজে বিভিন্ন সময় দূর্নীতি করে আসছেন। যে কারণে তাকে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শিক্ষার্থীদের মানব বন্ধনের পরে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ আলিমুজ্জামান মানব বন্ধনের প্রতিবাদে কলেজ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে  আলিমুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের খুঁজে না পাওয়ায় ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং সালে উপ-বৃত্তির টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের জুন মাসের ১০ তারিখে উপ-বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা টাকা পায়নি মর্মে অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে কলেজে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে আলিমুজ্জামানের স্ত্রী প্রভাষক সাবিনা ইয়াসমীন তাদের বলেন, “অধ্যক্ষকে দূর্নীতি করতেই হয়। তিনি এও বলেন আমি এবং আমার আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে উপ-বৃত্তির টাকা উত্তোলন করেছি কিন্তু ঐ সময় শিক্ষার্থীদের না পাওয়ায় সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

১৭ জন শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ নিজের ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং শশুরসহ চাচাতো ভাই, চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন নিকট আত্মীয়দের মোবাইলে উত্তোলন করে। জানতে চাওয়া হলে সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ আলিমুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানব বন্ধন করানো হয়েছে। শারমীন নামের একজন শিক্ষার্থীর দাবির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ২ বছর ঐ শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যায়নি যে কারণে তার ও অন্যান্যদের টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে। অথচ গত বছর শারমীন ঐ কলেজ থেকে অটো পাশ করেছে। এছাড়াও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন