হত্যাকারি দু’জন পোষাক পাল্টে পালিয়ে যায়। গাংনীতে এজেন্ট ব্যংক কর্মকর্তা হত্যার প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব-আমঝুপি সড়কে দিন দুপুরে সিটি ব্যাংকের এজেন্ট খাদেমুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় সুমন হােসেন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সুমনের স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দির পর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে গাংনী থানা পুলিশ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান থানা চত্বরে প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি বজলুর রহমান বলেন, গত (২৬ সেপ্টম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গাঁড়াডোব-আমঝুপি সড়কের খোকসা গ্রাম সংলগ্ন একটি আম বাগানের কাছে খাদেমুল ইসলাম (৩৫) নামের একজন সিটি ব্যাংকের এজেন্টকে গুলি করে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। খাদেমুল মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের মিনারুল ইসলামের ছেলে ও সিটি ব্যাংকের কোমরপুর শাখার এজেন্ট। খাদেমুল কোমরপুর থেকে ৪৬ লক্ষ টাকা ব্যাগে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলযোগে গাংনী উপজেলা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।

সে গাঁড়াডোব-আমঝুপি সড়কের খোকসা গ্রাম সংলগ্ন একটি আম বাগানের নিকট পৌঁছালে,পিছন দিকে থেকে একটি মোটরসাইকেলযোগে ৩জন ছিনতাইকারী তাকে গতিরোধ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা তার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চ্ষ্টো করলে,সে মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় ছিনতাইকারীরা তাকে খুব কাছ থেকে পিঠে একটি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা খাদেমুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে,কর্তব্যরত ডাক্তার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে মিরপুর নামক স্থানে মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন।

ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিকদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে, ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় গােপন সূত্রে জানা যায়,ঘটনার সাথে সরাসরি অংশ নেয়া ৩ জনের মধ্যে ১ জন তাদের ব্যবহৃত মােটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়। বাকী ২ জন আযান-জুগিন্দা এলাকায় কিছুক্ষণ আশ্রয় নেয় । এসময় হত্যাকারীরা পােশাক পাল্টে একটি ভ্যানযােগে এলাকা ত্যাগ করে। পরে হত্যাকারীদের বহনকারী ভ্যান চালককে চিহ্নিত করার পর কিছুটা তথ্য উদঘাটন হয়। এবং হত্যাকারীরা ঘটনার আগে ও পরে যেদিক দিয়ে এসেছিল এমনকি পালিয়ে গিয়েছিলপাল্ ওই এলাকার বাজারের সিসি ক্যামেরা থেকে তাদের চিহ্নিত করতে সহজ হয়। এর পর থেকে পুলিশের অভিযানে সুমন হোসেন (৩৫) নামের একজনকে গত ২৭ আগষ্ট আটক করা হয়।

আটককৃত সুমন জেলার মুজিবনগর উপজেলার টুঙ্গি গোপালপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে। আটককৃত সুমনের তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, গুলির খোসা ও হেলমেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হত্যার কাজে ব্যবহৃত তাদের অস্ত্রটি উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত আরো বেশ কয়েকজনকে আটক করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। আটক সুমনকে রিমান্ডে নিতে আদালতের কাছে ৫দিনের আবেদন করলে, বিজ্ঞ আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়াও গত ২ সেপ্টেম্বর আটককৃত সুমনকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হলে, বিচারক শাহীন রেজার আদালতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। এবং হত্যার ঘটনার সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে জড়িদের আটক করতে পুলিশের একাধিকদল মাঠে কাজ করছে।

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন