ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ ইউনুসের নারী কেলেংকারীর ঘটনা টক অব দ্য টাউন, গা ঢাকা দিয়েছে

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ কার্য়ালয়ে রাতের বেলায় ভেটেরিনারি সার্জনকে যুবতী সহ আটক করে এলাকাবাসী। ঘটনার পরে গা ঢাকা দেয় সার্জন, অফিসিয়াল পদক্ষেপ চলছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা প্রানী সম্পদ ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী কার্য়ালয়ের ২য় তলায় রুমে গত ২৪ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতের বেলা এক পাল্টাপুর ইউনিয়নের মাষ্টারোলে কর্মরত কমিউনিটি ক্লিনিকে কমরত জনৈক একটি মেয়ের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় স্থানীয় এলাকাবাসী হাতে-নাতে ধরে ফেলে।

এ সময় মেয়েটি বিয়ের দাবী জানালে ভেটেরিনারি সার্জন আটক কৃত ব্যক্তিদেরকে মোটা অংকের টাকার চেক হস্তান্তর করলে তারা জোরপূর্বক মেয়েটিকে নিয়ে চলে যায়। ছাড়া পেয়ে বুধবার সকালে সন্তান অসুস্থ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে নিজ বাড়ী পঞ্চগড়ে চলে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। ভেটেরিনারি সার্জেন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি নিজে মোবাইল না ধরে তার বোনকে দিয়ে রিসিভ করান।

এ ব্যাপারে রবিবার উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মুহিববুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জৈনক সাংবাদিক আমাকে ফোনে জানায় ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী যুবতীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে ধরা পড়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নৈশ্য প্রহরী মিজানুর রহমানকে ফোন করলে ঘটনাটির সত্যতা জানতে পারি।

পরদিন বুধবার সকালে অফিসে এসে সত্যতা পেয়ে দিনাজপুর জেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেন স্যারকে চিঠি দিয়ে ঘটনাটি অবগত করি। ভেটেরিনারি সার্জন বুধবার সকালে সন্তান অসুস্থ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে নিজ বাড়ী চলে যায়। অফিসে সিসি ক্যামেরা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানায়, তার লাইন ভেটেরিনারি সার্জনের রুমে আছে, তবে হয়তো তাহা নষ্ট।

দিনাজপুর জেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেন ও পরিচালক দেবাশীষ দাশ মুঠোফোনে চিঠির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, আমরা তদন্ত করছি, দ্রুত অফিসিয়াল ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে মাষ্টারোলে কর্মরত নৈশ্য প্রহরী মোঃ মিজানুরের সঙ্গে রবিবার রাতে কথা বললে তিনি বলেন,  উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মুহিববুর রহমান স্যার আমাকে ফোন করে ঘটনা জানতে চাইলে আমি দ্রুত উপরে গিয়ে দেখি ভেটেনারী সার্জন স্যারের রুমে একটি মেয়ে (স্যারের সাথে ট্রেনিং এর মাধ্যমে পরিচিত), মুরগীর খামারী সেলিম, ঠাকুর কার্তীক ব্যনার্জী সহ অপর এক আওয়ামীলীগের নেতা এবং ৩/৪ জন সাংবাদিক উপস্থিত রয়েছে।

এ সময় মেয়েটি বার বার বিয়ের জোর দাবী জানায়। ভেটেরিনারি সার্জন প্রায় ১১টার দিকে সাংবদিকদের হাতে একটি চেক লিখে দিলে তারা এক প্রকার মেয়েটিকে জোর করে টেনে নিয়ে যায়। অফিস বন্ধের পর বিকেলে আমার অগচরে মেয়েটি উপরে উঠে। রাতে আমি ডিউটিতে আসলে নিচেই থাকি। উপরে যেহেতু স্যার থাকে তাই উপরে যাওয়া হয়না। খুজতে খুজতে মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করা হলে, সে উপরক্ত নৈশ্য প্রহরীর বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে জানায়, ভেটেনারী সার্জেন তাকে বিয়ের আস্বাস দিয়ে সর্ম্পক তৈরী করে। ৩০ তারিখ পযর্ন্ত বিয়ের সময় নিয়ে তিন লক্ষ টাকার একটি চেক সাংবাদিকদের কাছে দেয়। বিয়ে না করলে আমার ব্যবস্থা আমি করবো।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ভেটেনারী সার্জেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করে তার বোন পরিচয় দিয়ে বারং বার এটি মহিলা ফোন রিসিভ করে। তাই তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনাটি কেন্দ্র করে টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকা ও শহরে মিশ্র পতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বার্তা প্রেরক
মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন)
দিনাজপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন