“মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার,যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার”- এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে যক্ষ্মারোগী সনাক্তকরণ ও যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বিভিন্ন কলেজ শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক মত বিনিময় সভা সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ফেনী সিটি কলেজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
নাটাব ফেনী জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা: রফিক উস সালেহীন। নাটাব ফিল্ড সুপার ভাইজার বিচিত্র চন্দ্র দাসের পরিচালনায় মত বিনিময় সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ফেনী বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ খুরশিদ আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর উৎপল কান্তি বৈদ্য। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী সিটি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো: শহিদুল ইসলাম জিয়া। মত-বিনিময় সভায় ফেনীর বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৩০ জন শিক্ষক অংশগ্রহন করেন।
মত বিনিময় সভায় আলোচকগণ সভায় উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই এইসব কথা এখন চলে না। আপনারা মনে রাখবেন যক্ষ্মারোগীদের চিকিৎসা, ঔষুধ পরীক্ষা- নিরিক্ষা সব বিনামূল্যে সরকারি খরচে করা হয়। ফুসফুসে যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ হলো এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি, এছাড়াও বিকেলের দিকে অল্প জ্বর এবং রাতে শরীর ঘেমে জ্বর ছেড়ে যাওয়া,খাবারে অরুচি,ওজন কমে যাওয়া এবং শরীর দিন দিন দূর্বল হয়ে যাওয়া,বুকে অথবা পিঠের উপরের অংশে ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট,কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত যাওয়া এই সমস্ত লক্ষণ গুলি দেখলে তাকে নিকটতম সরকারি হাসপাতাল,উপজেলা হাসপাতাল সমূহ, জেলা সদর হাসপাতাল,বক্ষ্যব্যাধি ক্লিনিক এবং কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আসতে পরামর্শ দিবেন। নাটাবের সূত্র মতে বাংলাদেশে এখনো প্রতি বছর ২২১ জন মানুষ নতুন করে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়।প্রতি লাখে যক্ষ্মার কারণে দেশে প্রতি বছর মৃত্যু বরণ করে ২৯ জন।
বার্তা প্রেরক
শেখ আশিকুন্নবী সজীব
ফেনী প্রতিনিধি