হোমনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে এর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো এক স্কুল ছাত্রী। জানা গেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের নবম শ্রেণি পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে ঠিক করা হয় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নতুন হাটি গ্রামের এক যুবকের সাথে। পরে বাল্য বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বর ও কনে পক্ষ।
কনে পক্ষের বাড়িতে রান্নাসহ সব আয়োজন সম্পন্নের পর দুপুরে কনে পক্ষের দাওয়াতী মেহমান ও ছেলে পক্ষের মেহমানদের একাংশের খাওয়া দাওয়া শুরু হয়। একটু পরেই আসবে বর এমন অপেক্ষায় ছিলেন কনে পক্ষ। কিন্তু বর আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে হাজির হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ঝগড়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যামান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সাথে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইনে কনে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মেয়ে পক্ষের মুচলেকা আদায় করা হয়। ইউএনও আরো বলেন, ছেলে পক্ষ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
বার্তা প্রেরক
মোঃ কামাল হোসেন
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি