ফেনী জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মত-বিনিময় করেছেন নবাগত জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন)উক্ত মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবাগত জেলা প্রশাসক স্বপ্রণোদিত হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জেলার সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চান। এ সময় সাংবাদিকেরা মাদক, চোরাচালান, শহরের যানজট, উজানের পানি ও জলোচ্ছ্বাসে জনদুর্ভোগ, নদী, খাল, জলাশয়, সড়কের পাশে জমি ও ফুটপাতের অবৈধ দখল, জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ অবকাঠামোর বেহালদশাসহ নানা সমস্যা এবং দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিলোনিয়া স্থলবন্দরের পাশাপাশি ইতিহাস- ঐতিহ্য, শিল্প- সাহিত্যে সমৃদ্ধ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় অপার সম্ভাবনার নানা চিত্র তুলে ধরে ফেনীকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিকদের প্রত্যাশার জবাবে নবাগত জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, আমার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও হলেও সেখানে আমার কাজ করার সুযোগ নেই। ফেনী আমার কর্মস্থল হওয়ায় এখানে আমার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ফেনীকে আমি নিজের জেলা হিসেবেই দেখছি। তিনি বলেন, চাকুরিতে যোগদানের পর প্রত্যেক কর্মস্থলে সততা, বিনয় ও সুনামের সাথে কাজ করে আসছি। এখানেও আমার কাজের পাথেয় সততা ও বিনয়। সব মানুষকে আমি সম্মানের চোখে দেখি, বড়-ছোট বিবেচনায় কখনো তাচ্ছিল্য করি না। তিনি বলেন, বলার জন্য বলা নয়, মন থেকে বলছি-যতদিন ফেনীতে আছি- সততা, বিনয় ও সুনামের সাথে কাজ করে যাব। অন্যায়ের সাথে কোনো আপস নয়।
করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। করোনা থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ফেনীকে এগিয়ে নিতে তিনি সাংবাদিক মহলসহ জেলার সব শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।মত-বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড: মঞ্জুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ২২তম ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ফেনীতে যোগদানের আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একান্ত ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন।
বার্তা প্রেরক
শেখ আশিকুন্নবী সজীব
ফেনী প্রতিনিধি