আত্রাইয়ে এ মধুমাসে চাহিদা বেড়েছে তাল শাঁসের

নওগাঁর আত্রাইয়ে গ্রীষ্মের তাপদাহের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের। বিক্রেতারা শাঁস কেটে বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ সময়ে। ক্রেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছে তালের শাঁস নিতে। শিশু সহ সব বয়সী লোকের মধ্যে এই তালের শাঁসের কদর দিন দিন বেড়েই চলছে।

এখন চলছে মধুমাস, এই মাসের বৈশিষ্ট্য হলো- আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা রকমের সুস্বাদু ফল পাওয়া যায়। তবে এ সময়ের ভিন্নধর্মী ফল হলো তালের শাঁস। তালের নমর শাঁস খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষাায় এটি“ তালকুর” নামে অধিক পরিচিত। প্রচন্ড গরমে তালের শাঁস শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয়।উপজেলার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি হাট-বাজার ও বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, বিভিন্ন দোকানের সামনে তালের শাঁস বিক্রয়ের দোকান বসিয়েছে বিক্রেতারা এবং সেখানে ভিড় জমিয়েছেন ছোট-বড় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা।

তালের শাঁস অতি পুষ্টিকর ও ঔষধিগুন সমৃদ্ধ। সব ধরনের ফল দেহের জন্য উপযোগী বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেলস সমৃদ্ধ হলেও তালের বহির্ভূত কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। অন্য ফলের তুলনায় এ ফলে ক্যালসিয়াম, লৌহ, আঁশ ও ক্যালোরির উপস্থিতি অনেক বেশি। বয়স্কদের জন্য এ ফলের উৎস থেকে সহজেই হজমযোগ্য পর্যাপ্ত আঁশ প্রাপ্তিতে অতি গুরুত্ব বহন করে। বর্তমান এই গ্রীষ্ম মৌসুমে উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিতে গলিতে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। তালের শাঁস বিক্রেতারা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল পাইকারী কিনে এনে বিক্রয় করেছেন।

প্রতিটি তাল ৫-১০টাকা দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা এবং ধারালো দা দিয়ে তাল কেটে শাঁস বের করে দিচ্ছেন তৃষ্ণার্ত ক্রেতাদের। অনেকেই রাস্তার পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে তালের শাঁস অনেকে তালের পুরো কাঁধি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন। তাল শাস ক্রেতা সোয়েবের হোসেন জানান, আত্রাইয়ে মৌসুমি ফল হিসেবে তাল শাঁসের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। মৌসুমি ফলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থে ও ফরমালিন ব্যবহার করায় ফলগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তালে কোনে প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়না।তাই এই ফলটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রতি বছর মৌসুম এলেই তাল শাঁস কেনার চেষ্টা করি।

উপজেলার ভবানীপুর বাজার এলাকায় তাল শাঁস বিক্রেতা আব্দুল মান্নান জানান, প্রতিদিন খুব ভালো বিক্রি হয় তাল শাঁস। তবে হাটের দিনে একটু বেশিই হয়। তিনি আরো জানান সকালে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে তালের গাছ কিনে সেখান থেকে তালকুর কেটে আনি। তবে এ মৌসুমে তাল শাঁস বিক্রি করে ভালো আয় হচ্ছে। অন্য পেশায় জড়িত থাকলেও মৌসুম এলেই প্রতি বছর এব্যবসায় জড়িয়ে পরেন তিনি।

বার্তা প্রেরক
আব্দুল মজিদ মল্লিক
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন