বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শাপলা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাপলা খাতুন ওই গ্রামের কোব্বাত শেখে স্ত্রী। গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার বিলশীতলা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা সোলাইমান হোসেনের মেয়ে শাপলা খাতুন।
প্রায় ১৫ বছর আগে দিনমজুর কোব্বাত শেখের সাতে তার বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে সে তিন সন্তানের জননী। রবিবার সন্ধ্যায় সাংসারিক বিষয় নিয়ে শাপলা খাতুনের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কোব্বাত শেখ। রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে শয়ন ঘরে সে শাপলা খাতুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে রাতেই পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, শাপলা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত। সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। যার কারনে রোগ যন্ত্রণা সইতে না পেরে শাপলা খাতুন তার স্বামীর ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রবিবার রাতেই শাপলা খাতুনের ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।
বার্তা প্রেরক
ফজলে রাব্বী মানু
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি