মরিচের দরপতনে লোকসানে কৃষক 

মরিচ বা লংকা (বাংলা উচ্চারণ: [মরিচ]  এক প্রকারের ফল যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে। মরিচের ফলকে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

মরিচ প্রতিটি তরকারির রেসিপিতেই অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। দেশে সারা বছরেই এর উৎপাদন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে। চারা রোপন থেকে শুরু করে পরিচর্যা অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গাছে মরিচ আসে। তবে যদি সে মরিচ বিক্রি করতে হয় নামমাএ দাবে তবে কৃষকের হাত মাথায় আসে।

এমনটাই হয়েছে মার্চ এপ্রিল মাসে রোপন কৃত মরিচ চাষিদের। অনেক কষ্টে উৎপাদন কৃত মরিচ বিক্রি হচ্ছে পানির দামে। আজ ৩ জুন বৃহস্পতিবার কাশিনাথপুরে হাটে দেখা মেলে কৃষকদের আত্নসমর্পণের দৃশ্যা।পাইকারী বাজারে  মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হয় ৫টাকা দরে (মন ২০০টাকায়)

সোনাকুড়া বরাট থেকে মরিচ নিয়ে আসা কৃষক মো.মুক্তার মিয়া বলেন – যখন মরিচের দাম হয় তখনতো অনেক খবর পএ পএিকাতে লেখা লেখি দেখি, কিন্তু এখন মরিচ চলছে এখন কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। তিনি আরও বলেন মরিচ তোলার পারিশ্রমিক উঠছেনা আমাদের। মরিচ গাছ থেকে তুলতেই কেজি প্রতি ৫ টাকা করে দিতে হয় সেখানে হাটে নিয়ে এসে বিক্রি করলাম ৫টাকা কেজি দরে। আমার অতিরিক্ত আরো ভ্যান ভাড়া লাগলো নিজ পকেট থেকে।

তবে উল্টো চিএ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ১৫-২০ টাকা দরে। এদিকে মরিচের ব্যাপারী শাহা আলম বলেন এখন মরিচের ভরা মৌসুম হওয়ায় মরিচের দাম কম। আমাদের কম দামে মরিচ কিনে বিক্রি করে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। কাশিনাথপুর ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী মো.ফরহাদ হোসেন বলেন মরিচের এখন ভরা মৌসুম হওয়ায় দাম কিছুটা কম। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী আষাঢ় শ্রাবন মাসে (জুলাই – আগষ্ট)  মরিচের দাম চড়া হবে। কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে এ বছরে কাশিনাথপুর ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ রোপন করা হয়েছে।

বার্তা প্রেরক
আব্দুল জব্বার
পাবনা প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন