ফেসবুকে পরিচয় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে পরিচয় ঘটে সুমি আক্তার (২০) এবং আব্দুল্লাহ আল মাসুম ওরফে মুরাদের (২১)। ফেসবুক আইডির মাধ্যমে যোগাযোগের কিছু দিনের মধ্যে সুমির সাথে দেখা করতে যায় মাসুম। দেখার পর থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্কটা আরো বাড়তে থাকে।

বিয়ের কথা বলে সুমিকে নিজের কাছে ডাকে মাসুম। মাসুমের ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবার পরিজন ছেড়ে চলে আসে সুমি। মাসুমের দেয়া ঠিকানায় রাজশাহীতে আসে সুমি। সেখানে থেকে সুমিকে সাথে নিয়ে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজপাড়া থানাধিন কেশবপুর মহল্লার একটি বাড়িতে উঠে মাসুম। সেখানে বিয়ের কথা বলে সুমির ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক ঘটায় মাসুম।

এর পর মাসুমকে বিয়ের কথা বললে সে নানান টালবাহানা শুরু করে এবং সুমিকে রাজশাহী থেকে চলে যেতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে বোয়ালিয়া থানার সুজানগর মহল্লায় এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় উঠেন সুমি। তাদেরকে বিষয়টি জানায় সুমি। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি সুমি আক্তার বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় আব্দুল্লাহ আল মাসুম ওরফে মুরাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সুমির বাড়ি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায়। এদিকে আব্দুল্লাহ আল মাসুম অরফে মুরাদের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ গ্রামে। মাসুমের পিতার নাম মকবুল হোসেন। ফেসবুকে পরিচয়ের পর থেকে সুমির নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মাসুম। সেই সাথে মাসুমের বোন জামাই পুলিশের চাকরী করার সুবাদে মাসুম ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন বলে অভিযোগ সুমির। আমাসী গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন সুমি।

সুমির বাড়ি মাসুমের বাড়ি আর থানা তিনটা তিন জায়গায় হওয়ার কারনে তেমন কোন কার্যকরী ফল হচ্ছেনা। সুমির দাবী আমি মেয়ে হওয়ার কারনে মামলার তদবির করতে ঢাকা থেকে নিয়মিত রাজশাহীতে আসা যাওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না। আর মাসুমের বোন জামাই একজন পুলিশ এবং রাজপাড়া থানার অন্তর্গত হওয়ার কারনে সর্বদায় থানার সাথে তার একটা যোগাযোগ রয়েছে।

প্রতারণা করে ফেসবুকের পরিচয়ে তিন বছর প্রেমের সম্পর্ক ঘটিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়া সহ শারীরিক সম্পর্ক করেছে মাসুম। মাসুম বাগমারার মোহনগঞ্জে তার নিজ এলাকায় দিব্যি ঘোরাফেরা করলেও তাকে ধরছেনা পুলিশ। দীর্ঘ দিন পার হলেও মাসুম গ্রেফতার না হওয়ার মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন সুমি। সুমির দাবী দ্রুত মাসুমকে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা হোক।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ জানান, ঘটনাটি শুনেছি, যেহেতু এটি নিয়ে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট হলে তাকে অবশ্যই গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাতে প্রেরণ করা হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার সব ইন্সপেক্টর মকবুল হোসেন বলেন, আসামীকে গ্রেফতার করতে এরই মধ্যে দুই বার বাগমারায় গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। করোনার কারনে আগের মতো কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বার্তা প্রেরক
মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন