মোল্লাহাটে হত্যাকান্ডের জেরে আবারও বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট

বাগেরহাটের মোল্লাহাটের শাসন গ্রামে আসাদ শেখ হত্যাকান্ডের জেরে আবারও বাড়িঘটর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) গভীর রাতে শাসন গ্রামের আাবেদ আলী ভুইয়া, সাফায়েত ভুইয়া ও রজব আলী শেখের বাড়িঘর ভাংচুর ও ঘরের মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। ক্ষতিগ্রস্থ রজ্জব আলীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন শেখ, আজাদ শিকদার, দুলাল শেখ, ইখলাস শেখ, রেন্টু সিকদার, জহিদ শরীফ, ইমদাদ মোল্লা, জাহিদ মোল্লা, মাসুম চৌধুরী, জানিক চৌধুরীসহ ৩০-৪০জন লোক আমাদের বাড়িতে আসেন।

আমাদের হামাড় দিয়ে বিল্ডিং ভাংচুর করে।দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ভাংচুর শুরু করে।ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকীও দিয়েছে। এমনকি আমাদের পরিবারের নারীদের গনধর্ষণের কথাও বলেছে তারা। শুধু আমাদের ঘর নয়, গতকাল রাতে প্রতিবেশী আবেদ আলী ভুইয়ার টিনের ঘর ও সাফায়েত ভুইয়ার ভিল্ডিংও ভাংচুর করেছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের এক নারী সদস্য বলেন, এক তারিখের হামলা ও ভাংচুরের পরে আমরা মামলা করেছিলাম।

ওই মামলায় ২৩ জন আসামী ছিল।গতরাতের ভাংচুরের আসামীদের কয়েকজন অংশগ্রহন করেছেন। যদি ওই মামলায় পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করত তাহলে এই ভাংচুর এড়ানো যেত বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে ০১ এপ্রিল মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মামুন শেখ ও কিবরিয়া শরীফের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মামুন শেখের চাচা শাসন গ্রামের আসাদ শেখ নিহতের জেরে মামুন শেখের সমর্থকদের বিরুদ্ধে শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও হত্যা মামলার আসামীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল।

হামলা ও গ্রেফতার এড়াতে ওই গ্রামের অন্তত শতাধিক পরিবারের পুরুষ সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইউপি সদস্য মামুন শেখ বলেন, শুনেছি বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু আমি এসব কিছুই জানিনা। আমি এই ভাংচুরের সাথে জড়িত না। হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

বার্তা প্রেরক
তানজীম আহমেদ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন