বাগমারায় শিশু ধর্ষণকারী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ

রাজশাহী বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কোন্দা গ্রামের শিশু ধর্ষণকারী  অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাজী মোঃ ওয়াহেদ মোল্লা এখনও পুলিশের ধারাছোয়ার বাহিরে। শিশু  ধর্ষণের এক সপ্তাহ পার  হয়ে গেলোও পুলিশ কি কারণে ধর্ষক হাজী ওয়াহেদ মোল্লাকে পুলিশ কেন  গ্রেপ্তার করতে পারেনি বা গ্রেপ্তার করছে না  তা নিয়ে মানুষের মাঝে রহস্যের জাল সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ধর্ষক গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার আতংক ও দুশ্চিন্তার  মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ও ধর্ষক হাজী ওয়াহেদ মোল্লার    পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা  এ ঘটনাটি কে আমলে না নিয়ে প্রশাসন কে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বিষয়টি   ধাপা- চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে এলাকায় গুনজন শোনা যাচ্ছে।

অপরদিকে গোপনসূত্রে জানা গেছে, ধর্ষককে  তার সহযোগীরা  পাগল প্রমাণ করে নির্দোষ প্রমাণ  করার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে করেছে বলে এলাকায় গুজব শোনা যাচ্ছে।  পাশাপাশি ধর্ষণকারীর লোকজনেরা সংবাদকর্মীকে ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে চলছে । বর্তমানে ধর্ষণের ঘটনাটিকে আসামি পক্ষের লোকজনেরা গোপনে ধাপা- চাপা দেয়ার জন্য টাকার দরকষাকষি উভয় পক্ষের লোকের মধ্যে হচ্ছে  বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়। উল্লেখ্য যে গত ১৮ই মার্চ বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাজী ওয়াহেদ মোল্লা তার বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুল পড়ুয়া ৯ বছরের  শিশুকে খাবার প্রলোভন দিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের ২দিন পর শিশুটি তার পরিবারকে জানায় যে, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাজী ওয়াহেদ মোল্লা তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানার পর শিশুটির পরিবার ২০ই মার্চ শনিবার বাগমারা থানায় হাজির হয়ে শিশুটির মা বাদি হয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাজী ওয়াহেদ মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আসামি পালাতক রয়েছে আর আসামি পক্ষের লোকেরা ধারাবাহিকভাবে ভিকটিমের পরিবার কে মামলা তুলে জন্য বিভিন্নভাবে  হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।এদিকে   বাগমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি)মোস্তাক আহমেদ গত ২৫মার্চ বৃহস্পতিবার  আবারও ঘটনাস্থলে এসে  ঘটনাটি তদন্ত করে গিয়েছেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি অফিসার মোঃ শামসুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার বার ফোনটি কেটে দেন। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বার্তা প্রেরক
মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন