গাংনীর মার্কেটে ইচ্ছাকৃত অগ্নিকান্ড

মেহেরপুরের গাংনীতে গত রবিবার (৭মার্চ) ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিকান্ড ঘটনা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডের স্থানে যেসব ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা ছাড়াও স্থানীয়রা ধারণা করছেন ওখানকার একজন বেডিং ব্যবসায়ী জিয়াউল হক জিয়া এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন আজ সোমবার (৯মার্চ) জিয়া বেডিং এর মালিক জিয়াউল হক জিয়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিছু কাপড় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনের ধোয়া ছড়িয়ে পড়লে পাশের লেদ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন তাকে ধরে ফেলে। এসময় অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং তারাও সেখানে ছুটে যায়।

এর আগে জিয়াকে গণধোলাই থেকে রক্ষা করতে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন তাকে পালাতে সাহায্য করে। ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন জনগন তাকে গণধোলায় দিলে তার ক্ষতি হবে ভেবে তাকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করি। বিচার তার হবে। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর আলী আজগর বলেন, জিয়া তার ব্যংকের ঋন ও ইনসুরেন্সের টাকা দাবি করার জন্য নিজে নিজে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আকমল স্টোরের মালিক আকমল হোসেন জানান, গতকালের ঘটনায় আমার ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। আজকে আবারও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আগুনের উত্তপ্ত ধোঁয়া আমার ঘরে প্রবেশ করলে আতংকিত হয়ে মালামাল সরানোর জন্য প্রস্তুতি নিই।

তিনি বলেন এধরণের অসাধু লোক ব্যবসায়ী হিসেবে পাশে থাকলে আমাদের ব্যবসার কোন নিরাপত্ত থাকবেনা। ব্যবসায়ীরা বলেন এখানে শুধু জিয়া বেডিং নয় বাকি দুজনকেও সরে যাওয়া উচিৎ। ঘটনাস্থলে রুপালি ব্যাংক কর্মকর্তা ও ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্স এর কর্মকর্তারা এসেছিলেন অগ্নিকান্ডের বিষয়ে গ্রাহক জিয়ার ক্ষতি পরিমান ও ঘটনা তদন্ত করতে। তারা বলেন গতকালকের ঘটনা আর আজকের ঘটনা যদি একই হয় অর্থাৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয় তাহলে সে তার অর্থ দাবি করলেও পাবেনা। এদিকে বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান স্বপন জানান, গাংনীর বাইরে থাকার কারণে বিষয়টি মোবাইলে অবগত হয়েছি। তবে যে ঘটনা জিয়া ঘটিয়েছে এ বিষয়ে কমিটির সকলকে নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে- ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে। অগ্নিকান্ডে জড়িত থাকার অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জিয়া পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন