গাংনী বাজারের মার্কেটে আগুনে প্রায় ৮লাখ টাকার ক্ষতি

মেহেরপুরের গাংনীতে অগ্নিকান্ডে তুলার স্টোররুম সহ কয়েকটি দোকানের আংশিক পুড়ে গেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গাংনী বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে তাৎক্ষনাক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক না জানলেও অন্তত ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন অফিসার ইছাহাক আলী বলেন,গাংনী বাজারের মনিরুল, জিয়া,সোহাগ বেডিং ও আকমল ষ্টোরের পিছনে গোডাউনে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। গাংনী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক তুহিন বলেন, ওয়েলডিংয়ে কাজ করার সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিলো এ কারনে দ্রত আগুন ছড়িয়ে। স্থানীয় লোকজন,ব্যবসায়ী সহ ছাত্র জনতা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে।

ফায়ার সার্ভিসের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করা গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক ঝুকি নিয়ে অগ্নিকান্ডের স্থানে গিয়ে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন,আগুনের লেলিহান শিখা যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। তুলার গোডাউন থেকে আগুন দ্রত ছড়িয়ে পড়ায় কারনে ৩টি গোডাউন ও মার্কেটের কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। এছাড়া গোডাউনের পাশে থাকা কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির মামুন তার নেতা কর্মী নিয়ে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন। এসয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ডালিম রানা ও সাধারন সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম মহন সহ বেশ কিছু ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করে।

স্থানীয়দের সাথে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মোঃ সাহিদুল ইসলাম আগুন নেভাতে অংশ নেন। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন,গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন, পৌর মেয়র আহমেদ আলী,গাংনী থানার ওসি বকন,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু,যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন।

পৌর মেয়র আহমেদ আলী বলেন,আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের পাশপাশি পৌরসভার গাড়ী থেকেও পানি সরবরাহ করা হয়। আগুনে ব্যবসায়ীদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন হঠাৎ অগ্নিকান্ড নির্বাপনে পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকায় সকল স্থানে পানি সরবরহ করার প্রয়োজগাংনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলামও পৌর মেয়রের সাথে একমত হয়ে তিনি ব্যবসায়ীদেরকেও সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস ও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করা সেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক জনতা ভিড় করে। ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন