কিশোরগঞ্জে যৌতুকের কারণে কলেজছাত্রী নির্যাতনের শিকার

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সুমি রায় নামে এক কলেজছাত্রী ও তার বাবা-মাকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে যৌতুকলোভী স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া চাপুয়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিযার্তনের শিকার ওই ছাত্রী ও তার আহত বাবা-মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়,একই গ্রামের কালিপদো রায় প্রতিবেশী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমি রায়কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রায় ৪ মাস আগে বিয়ে করেন। পরে বাস্তুভিটা বিক্রি করে সুমির বাবা সালিশের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরের পরিবারকে যৌতুক দেন। এতে চাহিদা মেটেনি যৌতুকলোভী স্বামী কালিপদো ও তার বাবা কেশর চন্দ্র, মা সুমতি রায়ের। কিছুদিন পরে আবারও হতদরিদ্র ওই কলেজছাত্রীর বাবার নিকট তারা ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা ছাড়া শুক্রবার বিকেলে সুমি তার স্বামীর বাড়িতে যায়। তার মামা শ্বশুর শুধীর চন্দ্র এসে রাতেই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দেয়। পরে যৌতুকের কারণে ওই কলেজ ছাত্রীকে তার স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি অমানবিক নির্যাতন করেন।

খবর পেয়ে সুমির বাবা সুধীর ও মা গীতারানী জামাতার বাড়িতে যান। এক পর্যায়ে জামাতার পরিবারের লোকজন তাদেরকেও বেদম মারধর করে রক্তাক্ত করেন। পরে স্থানীয়রা নববধূ সুমি ও তার বাবা-মাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করান।  এব্যাপারে কালিপদোর বাড়িতে গেলে দেখা না মেলায় তার যৌতুকলোভী বাবা কেশর চন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গৃহবধূকে নিযার্তনের কথা অস্বীকার করে জানান, ছেলে যদি ওই বউকে নিতে চাইলে অন্যত্র থাকবে। তাহলে শালিসের মাধ্যমে কনের বাবার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা যৌতুক নিলেন কেন। তিনি এর কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

বার্তা প্রেরক
মোঃ লাতিফুল আজম
নীলফামারী প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন