খুলনাতে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

খুলনার দৌলতপুর এলকায় ৭বছরের মেয়েকে কম্বল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করে ওই বাড়ির বাড়িওয়ালা। খুলনার দৌলতপুর থানার বীনাপানি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী অঙ্কিতা(০৭) কে কম্বল দেবার কথা বলে বাড়িওয়ালা প্রীতম ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে অঙ্কিতা চিৎকার শুরু করে এক পর্যায়ে বাড়িওয়ালা প্রীতম তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর ধর্ষণ শেষে দড়ি এবং জুতার ফিতা দিয়ে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

খুলনা মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সারোয়ার আহমেদের আদালতে (৩০-০১-২০২০)দুপুরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বীনাপানি ভবনের মালিক প্রীতম। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। দৌলতপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে প্রীতম স্বীকার করে হত্যার পর শিশুর লাশ প্রথমে গ্যারাজে সিমেন্টের বস্তার পাশে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে পঁচে গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে নিচতালার বিউটি পার্লারের বাথরুমে লুকিয়ে রাখা হয়। তিনি আরো জানান এই ঘটনার সাথে আর কেউই জড়িত নন।

গত ২২ জানুয়ারী বিকালে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় অঙ্কিতা, এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। ২৮ জানুয়ারি শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর প্রিতমসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে। শুক্রবার রাতে প্রিতমকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আটক অপর সাতজনকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে ওসি জানান।

বার্তা প্রেরক
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সাইফ)
খুলনা প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন