নওগাঁয় আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘড় নির্মানে নয়ছয় খুলে পড়ছে ঘরের টিন

নওগাঁ জেলার বদলগাছী ছোট যমুনা নদীর পাশে লালুকাবাড়ী আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মাণের দু’বছর অতিবাহিত না হতেই খুলে পড়ছে ঘরের টিন, জানালা-দরজা। আশ্রয়নে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যহত হওয়ার কারণে ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে অনেক পরিবার। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে লালুকাবাড়ী আশ্রায়ন প্রকল্পের মাটি কাটা হয় এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সেখানে ঘর নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, লালুকাবাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪৮টি ঘর রয়েছে। প্রকল্পটি নদীর ভেতর হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদী ভরে গেলে প্রকল্পের ঘরে ঘরে নদীর পানি ওঠে। এ ছাড়া ২/৩টি ঘরের নিচে মাটি নেই। খুটির ওপর টিনের ঘর দাঁড়িয়ে আছে।

পাশে টয়লেটের ঘেরা টিন খুলে পড়ে আছে। ৪৮টি ঘরের মধ্যে অধিকাংশ পরিবারের টয়লেট খুলে পড়ে আছে। টিউবওয়েলগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে। আশ্রয়নে বসবাসরত আবু বক্কর, আ. মতিন, আ. মান্নান, আতোয়ার হোসেন, রোজিনা বেগম বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে খুঁটির ওপর টিনের বেড়া টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দিলেও ঘরের নিচে মাটি ছিল না। আমরা নিজেরা মাটি কেটে ঘরের মেঝে তৈরি করে এখানে বসবাস করছি। গত বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি ওঠে প্রকল্পের মাটি বালি ধসে পড়ে পশ্চিম দিকের ঘরগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়ে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ায় অধিকাংশ পরিবার ঘর ছেড়ে চলে গেছে।

তারা আরো জানায়,এমন অরক্ষিত জায়গায় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী ঘরের ভিতর নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে হয়। আলোর ব্যবস্থা নেই, মসজিদ নেই, স্কুল নেই। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কিভাবে শিক্ষা নিবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবু তাহির বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ হয়েছে আমি এই উপজেলায় আসার আগে। তবে আমি সমস্যাগুলো দেখেছি। উপর মহলে যোগাযোগ করে ঘরগুলো সংস্কার, মাটি ভরাট, বিদ্যুৎ সুবিধা, স্কুল, মসজিদ নির্মাণসহ তাদেরকে আশে পাশের খাসজমি দেওয়া হবে।

বার্তা প্রেরক
আব্দুল মজিদ মল্লিক
নওগাঁ প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন