ফেনীর দাগনভূঁঞায় চার বছরের এক কন্যা শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। তার নাম আবদুল হালিম (৬৫)। তিনি ফেনীর দাগনভূঁঞা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড এয়ারপুরে একটি বাড়ীর তত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) ও সোনাগাজী উপজেলার চর মজিলিশপুর ইউনিয়নের চর লক্ষীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
দাগনভূঁঞা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ উল্যাহ জানান, সোমবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় ওই শিশুর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত শনিবার দুপুরে শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে। গত রোববার ওই শিশুর মা বাদী হয়ে দাগনভূঁঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, চার বছরের কন্যা শিশুটিকে সাথে নিয়ে তার মা গত শনিবার বিকেলে পাশের বাড়ীতে সেলাইয়ের কাজ করতে যায়। এক ফাঁকে শিশুটি ঘরের বাইরে যায় এবং খেলা করতে থাকে। এ সময় পাশেই বসা ছিলেন কেয়ারটেকার আবদুল হালিম। এক পর্যায়ে তিনি শিশুটিকে কাছে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় অন্য একজন নারী বিষয়টি দেখেই শিশুটিকে উদ্ধার করে।
দাগনভূঁঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আদালতে শিশুর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড ও আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বার্তা প্রেরক
শেখ আশিকুন্নবী সজীব
ফেনী প্রতিনিধি
