মানিকগঞ্জে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত তিন বছর ধরে শিকলবন্দী মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন মো. রমজান মিয়া (২৮)। অর্থের অভাবে কোন প্রকার চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতেই শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন রমজান। তার সৎ মা জোসনা বেগম জানান, অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরেজমিনে দেখা যায়, একটি একচালা টিনের ছাপরা ঘরের খুটির সাথে শিকল পায়ে মাটিতে বসে আছে রমজান। শরীরে শুধু একটি লুঙ্গি পড়া, আর কোনো কাপড় নেই। তিন ভাইয়ের মধ্যে রমজান সবার বড়। তার বাবা আজহার আলী (৫২) অন্যের জমিতে দিন-মজুরের কাজ করেন। তার অন্য দুই ছেলে আলাদা সংসার করেন।
এলাকাবাসী জানান, গত আট বছর পূর্বে রমজান মানসিক ভারসাম্য হারালেও তার মা রাহেলার যত্ম আর প্রাথমিক চিকিৎসায় স্বাভাবিকের মতোই চলছিল তার জীবন। এক পর্যায়ে তার মায়ের মৃত্যুর পর পরিবারের সকলের অযত্ম আর অবহেলায় তার অসুখ বেড়ে যায়। বর্তমানে সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তার বাবা। তিনি জানান, দৈনিক ৩০০-৩৫০ টাকায় দিন-মজুরির কাজ করে সংসার চলছে না। তাছাড়া করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে কাজ-কর্মও কমে গেছে।
অর্থের অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে না পেরে ছেলেকে শিকলে বেঁধে রাখতে হচ্ছে। আমি বাবা হয়ে আর ছেলের কষ্ট সইতে পারি না। তিনি আরো জানান, সরকারিভাবে আমার ছেলেকে কোনো ভাতাও দেয়া হচ্ছে না। মানসিক প্রতিবন্ধী রমজানের চিকিৎসা এবং পরামর্শ আশা করেন তার অসহায় বাবা। তিনি সরকারি সহায়তা চান ছেলের চিকিৎসার জন্য। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
বার্তা প্রেরক
আল মামুন
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি