গাংনীতে খুটি দিয়ে ১০ পরিবারের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ

Allegation of blocking the road of 10 families' houses with poles in Gangni

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের মৃত কেরামত আলির ছেলে সোহরাব হোসেন সাংবাদিকদের কাছে জানান, বাপদাদার আমল থেকে এখানে বাস করছি। আমরা সকলে এই একটি রাস্তা ব্যবহার করে মাঠে থেকে ফসলাদি আনা নেওয়া ছাড়াও যাবতীয় প্রয়োজনে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছি। প্রায় ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করার পরও প্রতিবেশীর একক সিদ্ধান্তের কারণে দশটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ঐ গ্রামের মোতালেব হোসেন এর ছেলে আওলাদ হোসেন। রাস্তা নেওয়ার জন্য তার কছে এখানকার সকল পরিবার জমির ন্যয্য মূল্য দিতে চাইলেও সে রাস্তার জমি বিক্রয় করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয় এমনকি জমি বিনিময় করতে চাইলেও তা মানেননি।

ভুক্তোভোগি সোহরাব হোসেনসহ এলাকার অধিকাংশ লোকজন জানান,ঐ পাড়ার সব পরিবারের বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা তাছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা সেখানে নেই। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়াই সেখানকার লোকজনের ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। ওখানে সকলেই কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এবং অধকাংশই নি¤œ আয়ের মানুষ। রাস্তাটি গাছের ডালের খুটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় মাঠের ফসল তুলতে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাছাড়া অন্তঃসত্তা বা বড় ধরণের রুগীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে অনেকে আশংকা করছে।

প্রতিবেশী আওয়ালাদ হোসেন একই গ্রামের মোতালেব হোসেন এর ছেলে গত শুক্রবার (১৩-১১-২০২০ ইং) তারিখে গাছের ডালের খুটি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার পর মহল্লার লোকজন স্থানীয় মেম্বর ও গন্যমান্য লোকজনদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার শালিসে বসেন। শালিসে গ্রামের মেম্বর লিলু মিয়া, সাবেক মেম্বর শুকুর আলি,গোলাম, সিরাজ ও আজিবর সহ আরো অনেকে জমি অথবা টাকার বিনিময়ে রাস্তা ছাড় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শালিসে মন্ডল মাতব্বরদের সিদ্ধানেত্ সম্মতি দিলেও পরে মোতালেব হোসেন এর বড় ছেলে লিটন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে গাছের ডালের খুঁটি পুতে সে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

এদিকে খুঁটি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার গ্রামের সব মহলের লোকজন মোতালেব এর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়টি নিয়ে যে কোন সময় আইন শৃংখলার অবনতি ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসি আশংকা করছেন ও এর একটা সুষ্ঠ সমাধান দাবি করে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এ ব্যাপারে মোতালেব হোসেন এর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমানা জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন