মেয়র লোকমান হোসেনের ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে নানা কর্মসূচী গ্রহণ

নরসিংদীর সাবেক জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের ৯ম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ১৪ দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে জনবন্ধু লোকমান হোসেন ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে আজ ১ নভেম্বর পৌর শহরের ৭১টি স্পটে শহর আওয়ামী ও সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে দোয়া ও গণভোজ, শহরের বিভিন্ন স্থানে লোকমান হোসেন এর কর্মময় জীবন ও উন্নয়নমূলক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজ, মাস্ক বিতরণ, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী এড. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি।

এদিকে মামলার বাদি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১ নভেম্বর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বর্তমান মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান কামরুল বাদী হয়ে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ  রাজুর ছোট ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মন্ডল প্রায় দীর্ঘ ৮ মাস তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৪ জুন সালাহউদ্দিনসহ এজাহারভুক্ত ১১ আসামীকে বাদ দিয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এতে মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি শহর আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন, এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি নরসিংদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবদুল মতিন সরকার, তাঁর ছোট ভাই শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সরকারসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এদিকে অভিযোগপত্র দাখিলের আগেই মোবারক হোসেন মোবা ছাড়া সবাই আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে যান। দীর্ঘ ৭ বছর পর গত ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর মোবারক হোসেন মোবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনিও বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর ২০১৯ সালের শুরুর দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার অভিযোগপত্রের উপর বাদির দায়ের করা নারাজি আবেদন আদালত গ্রহণ করায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালত পুনঃতদন্তে শুধুমাত্র বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে তদন্ত শেষ করে দেন। এঘটনায় রিভিশন চেয়ে বাদী জেলা ও দায়রা জজের আদালতে আবেদন করেন। বর্তমানে তা শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে।

বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদ আলী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে অভিযোগপত্রের উপর বাদির দায়ের করা নারাজি আবেদন আদালত গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আদালত শুধুমাত্র বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার পুনঃতদন্ত শেষ করে দেন। তাই আমরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেছি। বর্তমানে তা শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে।

মামলার বাদি নরসিংদীর পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি সঠিক ছিল না। সেখানে অভিযুক্ত ১৪ আসামির মধ্যে ১১ আসামিকেই বাদ দেওয়া হয়েছিল। যতদিন পর্যন্ত প্রকৃত আসামীদেরকে বিচারের আওতায় না আনা হবে ততদিন আমরা আইনি লড়াই করে যাব।

বার্তা প্রেরক
মো: নুরুল ইসলাম
নরসিংদী প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন