গাংনীর রেজিষ্ট্রি অফিসে সিন্ডিকেট ও ষ্ট্যাম্প জালিয়াতের হোতা নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ

দলিলের ষ্ট্যাম্প জাল ও রেজিষ্ট্রি অফিসে সিন্ডিকেটের হোতা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের নুরুল ইসলামের দূর্নীতির বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা সাধারণ জনগনকে সাথে মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
বুধবার (২৮-১০-২০২০ ইং) দুপুরে নুরুল ইসলামের জালিয়াতির বিরুদ্ধে এবং তাকে অবিলম্বে অবৈধ পথে উপার্জন করা অর্থের উৎস খুঁজে বের করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবিতে গাংনী শহরের প্রধান সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন এর একান্ত সহকারি শাহিদুজ্জামান শিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিব সহ সকল স্তরের নেতা কর্মী বৃন্দ।
সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন,ষ্ট্যাম্প জালিয়াত ও রেজিষ্ট্রি অফিসের সিন্ডিকেটের হোতা নুরুল ইসলাম যার কিছু দিন আগে কিছুই ছিলনা। সে এই রেজিষ্ট্রি অফিসে ঢুকে এখন সে কোটি টাকার মালিক। তার মেহেরপুরের  ৪টি বাড়ি।  তার দুটি বউ। বিয়ে করা বউ ঘরে রেখে তিনি বিদেশি একজনের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি এই এলাকায় যত ঠিকাদার আছে তাদেরকেউ নিয়ন্ত্রণ করছেন। যার ঘর ছাড়া কিছুই ছিলনা তার এখন শুধু গাংনীতেই ৫০ বিঘা জমির মালিক বনে গেছেন। শুধু ষ্ট্যম্পের ব্যাবসা করে কিভাবে এত টাকা আসে। কী আছে এর মধ্যে যে সে স্ট্যাম্পের ব্যবসা করে এত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল। কারণ ঐ নুরুল ইসলাম একজন জাল স্ট্যাম্প তৈরীর মালিক। সে জাল স্ট্যাম্প রেজিস্ট্রি অফিসে ছড়িয়ে আজ অবৈধ টাকার মালিক হয়েছেন। ঐ অবৈধ টাকা দিয়ে সে নানান অবৈধ কাজ করে চলেছেন।
এম এ খালেক গোয়েন্দার লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন আমরা বলছি বলেই যে এটা প্রকাশ হলো তা নয়। এ বিষয়টি নিশ্চয় গোয়েন্দাদের নজরে থাকা দরকার ছিল। তারা কেন এতদিন এই জালিয়াত সিন্ডিকেটের হোত নুরুল ইসলামের বিষয়ে কর্ণপাত করেনি এটা বোধগম্য নয়।
তিনি আরও বলেন সে তার অবৈধ টাকা দিয়ে জামায়াত বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তার অবৈধ টাকা দিয়ে বিএনপির লোকজনদের অনুপ্রবেশকারি হিসেবে আওয়ামী লীগে অন্তর্ভুক্ত করছে এ দিকে আমাদের সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি জুগিন্দা  গ্রামে উপ নির্বাচন হয়ে গেল তাতে ঐ নুরুল ইসলাম জালিয়াতের পোষ্য মফিজুল ইসলাম জামায়াত বিএনপির সাথে আতাত করে ভোটে বিজয়ী হয় আমার আপত্তি করিনি। কিন্ত ভোটে পাশ করে কী এমন হয়ে গেল যে সে আমাদেরই দলের ১৭’শ ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের উপর হামলা চালাতে হবে। এগুলো সবই ঐ জালিয়াত নুরুল ইসলামের বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুচনা মাত্র।
এম এ খালেক নুরুল ইসলামকে হুশিয়ার করে বলেন, এটাতো আড়াই মাসের একটি উপ নির্বাচন। শপথ নিতে নিতে সময় শেষ। আসল ভোটতো শুরু হবে কিছুদিন পর। তখন দেখা যাবে ঐ নুরুল ইসলাম জালিয়াতির অনুপ্রবেশকারি মফিজুলের কত ক্ষমতা।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, এর আগে এই গাংনীতে জাল স্ট্যাম্পের ব্যবসা করে একইভাবে জিরো থেকে কোটিপতি হয়েছিল বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম। সেও রেজিষ্ট্রি অফিসে সিন্ডিকেট করে সাধারণ জনগনের টাকায় অবৈধভাবে আজ কোটিপতি হয়েছে। তার সেই সিন্ডিকেটও আমাদের নেতা এম এ খালেক এর নেতৃত্বে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছি। এই জালিয়াত নুরুল ইসলামকেও মনে রাখতে হবে আমরা তোমাকেও উচিৎ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেব।
উল্ল্যেখ্য: নুরুল ইসলাম গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের মৃত আবেদ আলির ছেলে। সে একসময় খালিহাতে গাংনী রেজিষ্ট্রি অফিসে ঢুকে আজ সে মেহেরপুর জেলার কোটিপতিদের একজন।

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহররপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন