সম্প্রতি সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নব্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন খাঁনের আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে সাভারাবাসীর ভেতরে চলছে নানা আলোচলা-সমালোচনা।
গতকাল রাত ১২টার দিকে প্রথমে ‘সাভার-আশুলিয়ার দূর্নীতি’ নামের একটি গ্রুপে শাহাদাত হোসেন খাঁনের আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করা হয়। পরে ধীরে ধীরে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। এর কারণে এই নেতার জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমতে থাকে।
প্রকাশিত এ ছবির তল খুঁজতে এখন চলছে অন্তর্জাল দুনিয়ায় তোলপাড়। অনেকেই বলছেন, প্রথম থেকে নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্ভাবনাময়ী এই নেতা এবার ভালোভাবেই ফেঁসে যাচ্ছেন।
পোষ্টটিতে দেখা গেছে, সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নব্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন খাঁনের আপত্তিকর অলঙ্গ অবস্থায় একটি বিছানার উপর বসে থেকে একটি মোবাইল ফোন দেখছেন। তার পেছনে আরও দেখা গেছে এক নারীর হাত ও পাঁ।
ফেসবুকে প্রকাশিত ছবির ক্যাপশনে ‘সাভার আশুলিয়ার দূর্নীতি’র গ্রুপে লিখা হয়েছে নানা কথা। পাঠকদের সুবিধার জন্য ক্যাপশনটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি ভাইরাল।
সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন খান এর অনৈতিক কার্যকলাপে সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করা ছবি ফাঁস ।সাহাদত হোসেন খান বিভিন্ন সময়ে মদ্যপান মেয়েদের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড সহ নানা অপরাধে জড়িত।
সাম্প্রতিক মদ্যপান অবস্থায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার পরিবারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য গালিগালাজ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ফোনালাপ রেকর্ড ভাইরাল হয়। এছাড়াও সাহাদত হোসেন খান এর নামে জমি দখল , জুট দখল, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে তার অনৈতিক ছবি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
এই ধরনের অপরাধীদের আওয়ামী সংগঠনে বিশেষ বিশেষ পদ। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা জোর দাবি জানিয়েছেন।’
এ নিয়ে সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নব্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন খাঁনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রথমে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে আবার ফোন করা হলে মিটিং এ আছেন বলে পরে ফোন করতে চান।
