মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে টাকা ছাড়া মিলছেনি জলাতঙ্কের প্রতিষেধক

মানিকগঞ্জের সদর হাসপাতালে টাকা ছাড়া জলাতঙ্কের প্রতিষেধক মিলছেনা এমনটিই অভিযোগ হাসপাতালে আসা রোগীদের। সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল গুলোতে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক বিনামূল্যে দেওয়ার কথা থাকলেও মানিকগঞ্জের রোগীরা সেটি থেকে বঞ্চিত। কেননা হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে প্রতি ডোজ প্রতিষেধকের জন্য নেওয়া হচ্ছে ১৩৫ টাকা করে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিতে আসা রোগীদের ভীড় তুলনামূলক বেশি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে অপেক্ষমাণ থেকে প্রতিষেধক নিয়ে আসা কিছু রোগীর সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

অনিল মন্ডল নামক এক রোগীর সাথে কথা বললে তিনি জানান,” আমাকে কয়েক দিন আগে কুকুরে কামড়ায়।আমি হাসোতালে এসে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাই।ডাক্তার প্রেসক্রিপশন নিয়ে টিকা দেওয়ার রুমে যেতে বলে।সেখানে গেলে আমার কাছে ১৩৫ টাকা চায়।টাকা দেওয়ার পরে আমাকে ইনজেকশন দেয়। এ পর্যন্ত আমি তিন বার আসছি, তিন বারই আমার কাছ থেকে ১৩৫ টাকা করে নিয়েছে। ২১ দিন পরে আবার আসতে বলেছে।

মিঠু নামক এক ব্যক্তি জানান,”আমার ছেলে অনিক কে আজ সকালে কুকুরে পায়ে কামড় দেয়।আমি হাসপাতালে আসলে ডাক্তার টিকা লিখে দিয়ে টিকা দেওয়ার রুমে পাঠায়।সেখানে আমার কাছ থেকে ১৩৫ টাকা নেওয়া হয় এবং অন্য আরেকটি টিকা বাহির থেকে কিনে আনতে বলে।” এরকম প্রায় ১০/১২ জন লোকের অভিযোগ শোনার পরে টিকাদান কক্ষে গিয়ে কথা বলা হয় টিকা দান কর্মকর্তা মোঃ আখতার হোসেনের সাথে।তিনি বলেন,”গত মাসের ১৭ তারিখে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক শেষ হয়।চাহিদা পত্র জমা দিয়ে ষ্টোর কিপার মজিদকে প্রতিষেধক আনতে বলা হয়েছে।এখনো প্রতিষেধক এসে না পৌছানোর কারনে আমরা প্রতি রোগীর কাছ থেকে ১৩৫ টাকা করে নিয়ে চার জনের কাছ থেকে মোট ৫৪০ টাকা নিয়ে বাহির থেকে কিনে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক দিচ্ছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ষ্টোর কিপার মজিদ কে তার মুঠো ফোনে (০১৭৯৩৪৬৬০০৪)ফোন করে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এরফান আনসারি বলেন,”অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”

বার্তা প্রেরক
আল মামুন
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন