ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিখোঁজের চারদিন পর ধানক্ষেত থেকে স্বপন মিয়া (৪৩) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । বুধবার দুপুর উপজেলার পাগলা থানার দিয়ারগাঁও গ্রামের বাইলনা বিল থেকে ওই কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে পাগলা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত স্বপন মিয়ার ভাই শহীদ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের সাঞ্জিব গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে স্বপন মিয়ার সাথে তার ছোট ভাই দিয়ারগাঁও গ্রামের শহীদ গংদের সাথে ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত রবিবার (৩০ আগস্ট) সকালে স্বপন মিয়ার বাড়ির কাছে এ বিরোধ মিমাংসার লক্ষ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা, স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে এই সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিরোধপূর্ন ২৭ শতাংশ জমি পিতা মন্তাজ আলী তার দুই ছেলে স্বপন ও শহীদকে সমান দুই ভাগে ভাগ করে দিবেন । ঐ দিন রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে ছোট বাজার পাঁচবাগ মোড়ে গিয়ে রাতে আর বাড়িতে ফিরেনি। পরে গভীর রাত পর্যন্ত এবং সোমবার ও মঙ্গলবারও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। স্বপন মিয়ার পরিবার বিষয়টি পাগলা থানায় ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতাকে বিষয়টি অবহিত করে। এদিকে বুধবার বাইলন্যা বিলে ধান ক্ষেতে স্বপন মিয়ার ক্ষত বিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পাগলা পুলিশে খবর দেয় । দুপুরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এই বিষয়ে রেজিষ্ট্রি দলিল হওয়ার কথা ছিল। নিহতের ছেলে আলমগীর জানায়, রবিবার রাত ৮টার দিকে পাঁচবাগ মোড়ে একটি চা’য়ের দোকানে বাবাকে সর্বশেষ বসে থাকতে দেখি । এই দোকানের পাশেই শহীদ, বাবুল, নাজিম উদ্দিনসহ ১০/১২জন লোক সংঘবদ্ধভাবে দাড়িয়ে ছিল। অভিযুক্ত শহীদের বড় ছেলে রিপন মিয়া সালিশ বৈঠকেই তার পিতাকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল।
পাগলা থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় স্বপন মিয়ার ভাই শহীদ মিয়াকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বার্তা প্রেরক
আজহারুল ইসলাম জুয়েল
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি