রাস্তা নয় যেন পুকুর দুর্ভোগে যাত্রী ও পথচারী 

সংষ্কারের অভাবে কক্সবাজারের পেকুয়া চৌমুহনী হতে নতুন রাস্তার মাথা সড়কের মাতবর পাড়া,সাবেকগুলদী,চৈরভাঙ্গা ও পুরান বাগগুজারা  অংশের অবস্থা বর্তমানে এতটাই শোচনীয় রুপ নিয়েছে যে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে এটিকে দেখে মনে হয় রাস্তা নয় যেন পুকুর। খানা খন্দকে ভরা, ভাঙাচোরা এই সড়কে চলাচলরত যানবাহন, চালক ও যাত্রী, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টির পানিতে সড়কটি পুকুরের আকার নেয় তখন তা’ পরিণত হয় মৃত্যু ফাঁদে।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দুর্ভোগের অপর নাম আন্নর আলী মাতবর পাড়া পয়েন্ট।সড়কটি পেকুয়া উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌং বাজারের অন্তর্গত হলেও মানুষের দুর্ভোগ দেখেও নজর দেয়নি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। ফলে দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আজ (শুক্রবার)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে খানাখন্দকে ভরা রাস্তাটি। দুর্ঘটনার ভয়ে যানবহনগুলো ধীরে ধীরে যাতায়াত করছে। বৃষ্টির পানিতে পথচারীদের ভাষায় পুকুরে পরিণত রাস্তার দু-পারে যানবাহনের যানজট দেখে স্থানীয়দের প্রশ্ন, রাস্তাটির সংষ্কারের দায়িত্ব কার ?

হেলাল উদ্দিন ও আরিফুল ইসলাম নামের দু’জন শিক্ষক বললেন,এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস-ট্রাক, হলার, মাইক্রো, সিএনজিসহ হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। প্রায় তিন বছর ধরে রাস্তাটি বেহালদশায় পড়ে আছে। মাঝেমধ্যে ভাঙাচোরা ইঁট বিছিয়ে দিয়ে কোনো রকমে রাস্তাটির অস্থায়ী মেরামতি কাজ করা হয়। ফলে এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আগের অবস্থার চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে রাস্তাটি।

স্থানীয় সংবাদকর্মী মো:জহিরুল ইসলাম তার পর্যবেক্ষনে বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো রাস্তাটি ভাঙা ইট দিয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়।নতুন করে সংস্কার করা জরুরী হলেও, লোক দেখানো কার্যক্রমে স্থানীয়দের মধ্যে নানা ধরণের প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এক সিএনজি চালক বলেন, সড়কটিতে লোক মাঝেমধ্যে দেখানো মেরামত করা হয়। ফলে দুদিন যেতে না যেতেই আবারো একই অবস্থায় পরিণত হয়। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই পুকুরে পরিণত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এই পথে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা জানান, প্রতিদিন গাড়ি চালাতে গিয়ে ঝাঁকুনিতে কোমর ব্যাথা ধরে যায়। জরুরীভিত্তিতে রাস্তা সংস্কার করার দাবি সাধারণ মানুষের।

বার্তা প্রেরক
মো:জহিরুল ইসলাম
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন