চাঁদাবাজির অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন 

মেহেরপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর উপজেলা টেংরামারী গ্রামের সোহেল রানা। সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সোহেল রানা মেহেরপুর সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামের আব্দুর রশিদ মন্টুর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে সোহেল রানা বলেন, গত ১৪ আগষ্ট মেহেরপুর নিউজ ও ১৫ আগষ্ট দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রত্রিকায়“ সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজির অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমি এই সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের কাছে উপস্থাপন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানােয়াট, ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এই ভিত্তিহীন মিথ্যা, বানােয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতি আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

গত ১৪ আগস্ট ২০২০ ইং তারিখ রাতে মেহেরপুর নিউজ (অনলাইন) এবং ১৫ আগস্ট দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যানের মােবাইল ফোনে চাঁদাবাজীর অভিযােগ” – আমার নামে মােঃ হামিদুল হক যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ ভাবে ভিত্তিহীন মিথ্যা, বানােয়াট। হামিদুল হক সাহেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তিনি আমদহ গ্রামে বসবাস করেন। তিনি ২০০১ সালে টেংরামারী গ্রামের মােঃ আব্দুর রশিদ (মন্টু) আমার পিতার  কাছে থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয় সৌদী আরবে ভাল চাকুরী দিবে বলে। পরবর্তীতে তিনি সৌদী আরব পাঠাতে ব্যর্থ হন। সে সময় হামিদুল হক এবং টেংরামারীর মামলত বিশ্বাসকে ১,২০,০০० টাকা প্রদান করেন আমার পিতা। কিন্তু হামিদুল হক তৎকালীন বিএনপি’র নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন এবং টাকা চাইতে গেলে তিনি বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখাতাে। হামিদুল হক টাকা না দিয়ে দীর্ঘদিন মেহেরপুর জেলা থেকে ঢাকায় পলাতক ছিলেন।

হামিদুল হকের পরিবার সাহেবপুর গ্রাম থেকে আমদহ গ্রামে আমদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদের বাসায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। হামিদুল হক মেহেরপুর থেকে ঢাকায় গ্রায় ১৪ বছর পলাতক ছিলেন। বর্তমান হামিদুল হক আমদহ গ্রামে বসবাস করিতেছেন। হামিদুল হক দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকায় আমার আব্বা মােঃ আব্দুর রশিদ খোঁজ খবর পায় নাই এবং ঐ সময় বিএনপির প্রভাব থাকায় আমার আব্বা টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হন। চলতি মাসের ৭ই আগস্ট ২০২০ ইং তারিখে আমার মােবাইল নম্বর থেকে কল করি হামিদুল হককে এবং কথপথনে ‘আঙ্কেল’ হিসাবে সম্বােধন করি ও বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার জন্য উভয় পক্ষকে বসতে বলি। হামিদুল হক বসতে রাজী হয়।

হামিদুল হক আমাকে বলে, ১৪ই আগস্ট শুক্রবার আমদহ অথবা টেংরামারী গ্রামে বসে বিষয়টি সমাধান করবে এবং আমি মােবাইলে কথা বলার সময় ভদ্র ও সাবলিল ভাষায় কথা শেষ করি। কিন্তু ১৩ই আগস্ট ২০২০ ইং তারিখ সন্ধ্যার সময় আমি হামিদুল হককে মােবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বসতে অস্বীকৃতি জানান এবং ১৪ই আগস্ট শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর সদর থানায় আমার নামে চাঁদাবাজীর মিথ্যা অভিযােগ করে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানােয়াট ও ভিত্তিহীন।  আমি একজন তরুন উদ্যোক্তা। আইটি সেকশনে কাজ করি।  আমার নামে হামিদুল হক যে মিথ্যা অভিযােগ করেছে সেটা আইনের মাধ্যমে মােকাবেলা করা হবে। হামিদুল হকের সঙ্গে মােবাইলে কথা সময় সমস্ত কল রেকর্ড আছে, যা আপনারা চাইলে আমি দিতে প্রস্তুত আছি। তাই আমি এর পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন