খুলনার ডুমুরিয়াতে ম্যাগনেট ব্যাবসায়ী সাকি বাহিনীর রাজত্ব কায়েম

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায় ম্যাগনেট ব্যাবসায়ী,সন্ত্রাসী,আদম ব্যাবসায়ী,দালাল,ভূমিদস্যু,প্রতারক চক্রের হাতে সাধারণ মানুষ বার বার জখম হচ্ছে।

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার ১নং ধামালিয়া ইউনিয়নের মান্দ্রা গ্রামের মাস্টার গাজী আব্দুস সামাদের পুত্র জিয়া গাজী(৩৫) একই গ্রামের সাকী ইউনুচ এর কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে (০৪জুলাই) বিকাল ৫টায় সাকি বাহিনীর নিম্নোক্ত সন্ত্রাসীদের দ্বারা খুনের উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত ও জখম হতে হয়েছে। জিয়া গাজী এখন খুলনা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে। ০৪জুলাই বিকাল ৫টায় ঘেরের টাকা চাইতে গিয়ে সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রূপ সাকি বাহিনির

১। সাকী ইউনুস( ৪৫), পিতাঃমৃত দীন মোহাম্মদ গাজি। ২। সালমা খাতুন( ৩৪), পিতাঃ দীন মোহাম্মদ গাজি ৩। লিটন বিশ্বাস (৪০) , পিতাঃ লুৎফর বিশ্বাস ৪। গোলাম সরোয়ার (৪৩) পিতাঃ মৃত কাসেম সরদার ৫। জুয়েল সরদার( ৩৬), পিতাঃ হক সরদার। ৬। মাহাবুর গাজি (৫৪), পিতাঃ মুত পির মোহাম্মদ গাজি। ৭। সুজিৎ ধর (৪২), পিতাঃ মৃত সন্তোষ ধর সর্ব সাং মান্দ্রা। ৮। শচিন মন্ডল( ৪৫), পিতাঃ অশ্বিনী মন্ডল। ৯। সনজিত মন্ডল (৪৩), পিতাঃ অশ্বিনী মন্ডল। ১০। সত্যজিৎ মন্ডল (৩৬),পিতাঃ কাত্তিক মন্ডল।১১। সমেশ মন্ডল (৪৯),পিতাঃ কালিপদ মন্ডল। সর্ব সাং ময়নাপুর। ১২। আযম হালদার (৩৭), পিতাঃ মৃত রশিদ হালদার, সাং- কাটেংগা। ১৩। আতিয়ার সরদার (৪৭), পিতাঃ মোহাম্মদ আলী সরদার, সাং মান্দ্রা। ১৪। সাঈদ সরদার (৩৭), পিতাঃ সাং- মান্দ্রা। উপরোক্ত সর্ব থানাঃ ডুমুরিয়া, জেলাঃ খুলনা। ১৫.ইয়াছিন সরদার ( ৩৭), পিতাঃ কুবাদ সরদার, গ্রামঃ ডাউকোনা, ডাকঃ জামিরা হাট, ফুলতলা, খুলনা। ১৬। সাইফুল্লাহ হাজেরী (৪৮), পিতাঃ শফিউল্লাহ হাজেরী, গ্রামঃ তাঁজপুর, ফুলতলা, খুলনা। হাতে গুরুতরভাবে জখন হন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সুত্রে খোজ নিয়ে জানা যায় মান্দ্রার সাকী ইউনুচ মুলত সাতক্ষীরায় ঘের ব্যবসার আড়ালে ম্যাগনেটের ব্যবসা করে, এবং দালাল চক্রসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত, তার নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বিদেশ যাবার কথা বলে এবং চাকরি দেবার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মান্দ্রায় এসে পরিচয় দেয় সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামা শেখ আহাম্মদ মির্জার ভাগ্নে। পুলিশ প্রশাসন সহ বাংলাদেশের সব সেক্টরে সব কাজ সাকী ইউনুস করতে পারবে। কোন পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতা নেই তাকে কিছু করবে। বছর কয়েক আগে শেখ আহম্মদ মির্জাকে এলাকাতে নিয়ে আসেন সাকী ইউনুস এবং পরবর্তীতে তার নাম ভাঙ্গিয়ে অসংখ্য লোকের কাছ থেকে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার অবিবাহিত বোন সালমা(২৭) ও নামে বেনামে বহু অলিখিত স্বামী পরিচয়ে এইচ,এস, সি পাশ হওয়া সত্ত্বেও এম এ পাশ পরিচয় দিয়ে ফুলতলার ডাউকোনায় ময়না বেগম অটিস্টিক (প্রতিবন্ধী স্কুল) স্কুলে অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষক পদে ঢুকে নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে প্রায় ৩০,০০,০০০( ত্রিশ লক্ষ) টাকা হাতিয়ে কেটে পড়েছে। তাদের বেতন না হওয়ায় তারা দ্বারে দ্বারে কেঁদে বেড়াচ্ছে। এলাকাতে দুই ভাই বোন টাকা দিয়ে গুন্ডা পুসে নিয়েছে এবং রাজত্ব কায়েম করছে। কেউ পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিপদ হয় নাহলে মামলা নাহলে শিলতাহানি আর তা না হলে জখম। যে প্রশাসন আসুক না কেন তার উঠাবসা সাকী ইউনুচ এর সাথে। । এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা মোঃ আব্দুস সাত্তার গাজী এবং বর্তমানে জিয়াকে জখম হয়ে খুলনা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়তে হচ্ছে।

স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা মোঃ আব্দুস সাত্তার গাজীর সূত্রে জানা যায় সাকি ইউনুস একজন, ভূমিদস্যু এবং টাকা দিয়ে গুন্ডা পান্ডা পুষে রাজত্ব কায়েম করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মামা শেখ আহম্মেদ মির্জার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছে গুন্ডাপান্ডা থাকার কারনে সাধারণ জনগন ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে সাকি বাহিনীর অপকর্ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, তিনি ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছেন এবং ১নং আসামী সাকি ইউনুসকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বাকীদের ধরতে কার্যক্রম চলছে।

বার্তা প্রেরক
মোঃ সাইফুল ইসলাম
ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন