ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর মৌজায় ৫৫/৬০ বছরের ভোগদখলীয় এবং রেকর্ডকৃত ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল মালেক ও সর্দারএর ওয়ারিশদের নামে শিবপুর মৌজায় ৩৮১৮ দাগে ১২.১৮ শতাংশ , ৩৮১৯ দাগে ৩৫ শতাংশ, ৩৮২০ দাগে ৩৫ শতাংশ, ৩৮২২ দাগে ৩৬ শতাংশ, ৩৮২৩ দাগে ১৫ শতাংশ, ৩৮২৮ দাগে ১৬ শতাংশ, কবরস্থানে ১২ শতাংশ মোট ৯৬ শতাংশ রেকর্ডকৃত জমি। উক্ত জমি ক্রয়সূত্রে ৪নং ওয়ার্ডের হাজী মোজাম্মেল মিয়া বাড়ির মোঃ সিরাজ দীর্ঘ ৫৫/৬০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আছেন।
উক্ত এলাকার বসুমুন্সি বাড়ির রুহুল আমিন, হারুন, জুয়েল, শাখাওয়াত, ফরিদ গংরা জমি জবর দখলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী মোঃ সিরাজ মিয়া জানান, আমি দির্ঘ ৬০ বছর যাবৎ এ জমি ভোগদখল করে আসছি।গত সপ্তাহে আমি বাড়ি না থাকায় রুহুল আমিন, হারুন, জুয়েল, শাখাওয়াত, ফরিদ গংরা জমি থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। তা ছাড়াও তারা নানা সময়ে নানা ভাবে জমির ওপর এরকম অত্যাচার করে আসছে। আমি গত ৬০ বছর যাবৎ জমি বায়না বাবৎ ভোগদখল করে আসছি এবং গত ১২-১২-১২ সালে আব্দুল মালেক ও সর্দারএর ওয়ারিশদের কাছ থেকে এই ৯৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। আমার কাছে পর্যাপ্ত কাগজ পত্র আছে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে তারা আমার জমির উপর এ রকম জবর দখল করছে তা বুঝতে পারছি না।
ভুক্তভোগী সিরাজ আরো বলেন, রুহুল আমিন, হারুন, জুয়েল, শাখয়াত, ফরিদ গংরা সংখ্যায় বেশি ও দাপুটে হওয়ায় জানমালের ক্ষতি সাধনের হুমকী ধামকী দিচ্ছে। ফলে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে রুহুল আমিন গংদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বার্তা প্রেরক
আজাহার হোসেন বাপ্পি
ভোলা প্রতিনিধি