করোনা যুদ্ধে একজন সাব্বির মুন্না ও চিলেকোঠার গল্প

ভোলা জেলাকে করোনামুক্ত রাখতে দিনরাত স্বেচ্ছাসেবায় কাজ করে যাচ্ছে নির্ভিক এক তরুণ সাব্বির মুন্না। পেশায় প্রকৌশলী। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে নিজ উদ্দ্যোগে গঠন করেছে তার স্বেচ্ছাসেবী সংঘ “চিলেকোঠা”।পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে সাব্বির মুন্না ও তার টিমের সদস্যরা। বর্তমানে চিলেকোঠার সদস্য সংখ্যা ১০০ জন। একজন সাধারণ নাগরিক হয়েও যে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সাব্বির মুন্না। হাসিখুশি তারুন্যদীপ্ত যুবক সাব্বির মুন্না দেশের বিপদে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।নিজের অর্থায়নে ভোলা জেলার যুবকদের উদ্বুদ্ধ করে জেলায় মানুষের সামাজিক দূরত্ব ও স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করছে এই তরুন।

ভোলা জেলা তার নিজের জেলা না হলেও কর্মস্থল ভোলাকে ভালোবেসেই তার এই স্বেচ্ছাশ্রম। পুলিশের সহযোগিতায় নিজের টিমের সদস্যদের নিয়ে ভোলা জেলায় বহিরাগতদের অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দিচ্ছে সে।এছাড়াও কাচা বাজারে ও জনসমাগমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরন,মাস্ক বিতরণ, গ্লাভস বিতরণ, হ্যান্ডরাব দিয়ে স্যানিটাইজেশন, রিকশা বা মোটরবাইকে একজনের বেশি যেতে বাধা দেওয়া, খাবার ও স্যানিটাইজার বিতরণসহ উন্নয়নমূলক কাজ করছে সাব্বির মুন্না ও তার টিম।

ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও তারা ত্রান পৌছে দিয়েছে। ৩০০ পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ত্রান দিয়েছে এই তরুন। লুকিয়ে আসা বহিরাগতদের শনাক্ত করে জেলা প্রশাসকের সহায়তায় তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে সাব্বির মুন্নার সংঘ চিলেকোঠা। সাব্বির মুন্না বলেন”সবাই একসাথে মিলে দেশকে করোনামুক্ত করতে হবে। প্রকৃত বীর সেই যে দেশের বিপদে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে,এই যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে।” সাব্বির মুন্নার প্রত্যাশা দেশের প্রত্যেক জেলায় প্রত্যেক এলাকায় এরকম তরুন যুবকেরা নিজের এলাকার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ও বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এগিয়ে আসবে। সাব্বির মুন্নার এই স্বপ্ন পূরণ হোক, ভালো থাকুক টিম চিলেকোঠা। করোনাযুদ্ধ মোকাবেলায় তাদের এই দীপ্তশপথ সফল হোক। সুস্থ এক বাংলাদেশের প্রত্যাশায় এক হয়ে যুদ্ধ করে আবারো বিজয় ছিনিয়ে আনবো আমরা।

বার্তা প্রেরক
আজাহর হোসেন বাপ্পি
ভোলা প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন