ঈশ্বরগঞ্জে বল্লমের আঘাতে এক যুবকের মৃত্যু

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় আহত নুরুল ইসলামকে (৩২) উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে দুই পক্ষের আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।

উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বাঁধাটি গ্রামের প্রয়াত মিয়া বক্সের ছেলে নুরুল হকের (৩২) সঙ্গে প্রতিবেশী প্রয়াত আবদুছ ছালামের ছেলে হাবিবুল্লাহর (৪০) বিরোধ চলছিলো। দুই পক্ষের মধ্যে বাড়ির পাশের জমি নিয়ে গত কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। গত কয়েকদিন আগে নুরুল হকের জমির পাশের কিছু চারা গাছ কেটে ফেলে হাবিবুল্লাহর লোকজন। এ নিয়ে ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বুধবার দুপুরে ফের উত্তেজনা শুরু করে দুই পক্ষের লোকজন।

দুপুর পৌনে ৩টার দিকে হাবিবুল্লাহ তার লোকজন নিয়ে নুরুল হকের ওপর হামলা করেন। ওই বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত হন নুরুল হক। আহত হন নুরুল হকের ভাতিজা সাদ্দাম (২৫) ও সজিব (১০)। সংঘর্ষে হাবিবুল্লাহর পক্ষেরও কয়েকজন আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কয়েকজনকে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুরুতর অবস্থায় নুরুল হককে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ৪টার দিকে নুরুল হককে মৃত ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবুল হাসেম বলেন, জমির পাশের চারা গাছ কাটা নিয়ে কয়েকদিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। ওই বিরোধ নিয়ে দুপুরে নুরুল হকদের ওপর হামলা করে হাবিবুল্লাহর লোকজন। বল্লম দিয়ে নুরুল হককে আঘাত করে হত্যা করা হয়।

আঠারবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। গত কয়েকদিন আগে দুই পক্ষ তাদের কাছে গেলে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে মিটমাট করে দেন। কিন্তু বুধবার ফের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল হক মারা যায়।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বার্তা প্রেরক
জুয়েল
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন