ভোলার চরফ্যাশনের নুরাবাদ ইউনিয়নের হাজির হাট বাজারে কসাই কাঞ্চন মিয়া গত রবিবার একটি রোগাক্রান্ত ও গর্ভবতী মহিষ জবাই করে সাধারণ মানুষের কাছে মাংস বিক্রি করেছেন। ওই মহিষটি চোরাই বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ বিষয়টিকে আহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও সূত্রে জানা গেছে।
স্থানিয়রা সাংবাদিকদের জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে কসাই কাঞ্চন মিয়া এলাকায় প্রায়ই রোগাক্রান্ত ও চোরাইকৃত গরু-মহিষ জবাই করে মাংস বিক্রি করে থাকেন। গত রবিবার চোরাইকৃত একটি রোগাক্রান্ত ও গর্ভবতী মহিষ কাঞ্চন কসাই জবাই করে মাংস বিক্রি করেছেন।
এলাকাবাসী মহিষের পেটের বাচ্চা থাকায় বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং রমজান মাসে রোগাক্রান্ত ও গর্ভবতী মহিষ জবাই করে মাংস বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করায় প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করছেন। এদিকে লালমোহন উপজেলার সুলতান রাঢ়ী নামের এক ব্যক্তি জবাইকৃত মহিষটি তার ছিল বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, এ মহিষটি আমার এবং তা গত কয়েকদিন পূর্বে চুরি হয়।
এ বিষয়ে তিনি দুলার হাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ প্রসঙ্গে কাঞ্চন কসাই বলেন- মহিষটি চোরাইকৃত না। মহিষটি আনন্দবাজার এলাকার তুহিনের।তার জামাই আলমগীরের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। তবে মহিষের পেটে বাচ্চা ছিল। লোকসান হবে বলে আমরা মহিষটি জবাই করে মাংস বিক্রি করেছি। বিষয়টি জানাজানি হলে আমাদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম মিয়া ফয়সালা করে দিবেন বলে দায়িত্ব নিয়েছেন।
ফয়সালা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে আহাম্মদ পুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম কে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার একজন সাংবাদিক তার মুঠোফোনে যোগাযোগ তিনি বলেন –“‘এ ব্যাপারে আপনাকে কি কৈফিয়ত দিতে হবে” ? বলে ফোন কেটে দেন।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন -অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্তা প্রেরক:
আজাহার হোসেন বাপ্পি
ভোলা জেলা প্রতিনিধি