লকডাউনের একমাস পেরিয়ে গেলেও অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়াতে যারা শেষ পর্যন্ত ঢাকায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারাও এখন গ্রামের পথে পা বাড়িয়েছে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এতোদিন ঢাকা থেকে তাদের জমানো টাকা প্রায় খরচ করে ফেলেছে। তাদের এখন ঢাকা থাকতে হলে না খেয়ে থাকতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই ঢাকা থেকে ঝালকাঠিতে ফিরতে শুরু করেছে। এর ভিতরে অনেকে হেটেই বাড়ি এসেছে, ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার রবিন (ছদ্মনাম) ও তার ৪ বন্ধু মিলে এম্বুলেন্স রিজার্ভ করে কৌশলে বাড়ি ফিরেছে।
রবিন জানায় তার বন্ধু হেমায়েত রুগী সেজে এম্বুলেন্সেে উঠে , রবিন এম্বুলেন্সে উঠার আগে বাসার পাশের ফার্মেসি থেকে ডাক্তারি প্যাড নিয়ে নিজেই কিছু ঔষধ পত্রের নাম লিখে। ঘরে থাকা পুরনো কিছু ঔষধও ব্যাগে নিয়ে নেয়। হেমায়েত মাক্স পরে পুরু কাথা গায় দিয়ে সমস্ত পথ শুয়ে ছিল। পথে কয়েকবার আইন রক্ষাকারী বাহিনী জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় রুগী দির্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ডাক্তার রিলিজ দিয়ে দিয়েছে তাই তারা বাড়ি চলে যাচ্ছে। এতো কৌশল করেও পথে তাদের দুইশত টাকা পুলিশকে দিতে হয়েছে।
আবির নামের একজন বাড়িতে এসেছে রিক্সা, ট্রলার, সিএনজি, অটোরিকশা সহ নানা যানবাহনের মাধ্যমে এবং যে সব যায়গায় পুলিশি চেক পোস্ট রয়েছে সেখান থেকে পায়ে হেটে।
কোথায় যাবেন ? পুলিশের এমন প্রশ্ন করলে বলেছে এই তো সামনেই তার বাসা! কেউ কেউ আবার বাড়িতে চাষাবাদের কথা বলেও পুলিশ এরিয়ে বাড়ি চলে এসেছে। কেউ কেউ পুরোটা পথ সাইকেল চালিয়েও এসেছে বলে শোনা যায়। এদেরকে প্রশাসনের লোকজন হোম কোয়ারান্টাইনেে থাকতে বললেও অনেকেই হোম কোয়ারান্টাইন মানছেন না। দিন দিন এই এলাকার ঝুকি বাড়ছে।
বরিশাল (জেলা)প্রতিনিধি