ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজগর আলী মুন্সীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ । সালিশ বিচারের নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। টাকা না দিলে সঠিক বিচার মিলছে না সাধারণ জনগণের। নিজেকে ঐ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান পরিচয়ে চালাচ্ছেন নানা কুকর্ম। বিচারের নামে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি আর অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার প্রধান কাজ বলে জানায় এলাকার সাধারণ জনগণ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজগর আলী মুন্সী জমি-জমার কাগজপত্রে নিজে পারদর্শী থাকায় ভুক্তভুগীরা তার কাছে গেলে সঠিক কাগজপত্র বুঝিয়ে দিবেন এমনটা আশার বাণী শুনিয়ে থাকেন। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত মুনসুর বেশিরভাগই জমি সংক্রান্ত দায়িত্ব আজগরের উপর দেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ ও রয়েছে। ওই ইউনিয়নের ভুক্তভুগী নবী বাড়ির নুরনবী জানান, মোটা অংকের টাকার বিনিময় আজগর মেম্বার সালিশ বিচার করেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজকেও জানানো হয়েছে।
ইউসুফ নামে এক ভুক্তভোগী জমি সংক্রান্ত বিরোধের সালিশের জন্য ইউপি সদস্য আজগর এর কাছে জান, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন আজগর মেম্বার ও গনি মেহের মিলে আমাকে মারধর করেন এবং আমার নিজের সম্পত্তি টাকা খেয়ে অন্যকে দেয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আজগর মেম্বার। তার কথা না শুনাতে এবং দাবিকৃত টাকা তাকে দিতে পারিনি বলে লোকজন দিয়ে আমাদের উপর হামলা করেন। এই মেম্বারের বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা এছাড়াও আনছার মাতাব্বর বাড়ির জামেলা মানিক মাতাব্বর, ফারুকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন আজগর মেম্বার।
এ রকমের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে অসাধু মেম্বার আজগর আলী মুন্সীর বিরুদ্ধে। ভোলার প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার বিচার দিয়ে কোনো উপায় পায়নি এ সকল ভুক্তভুগীরা। এছাড়াও ঐ এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।