গত ২৪ ঘন্টায় মাদারীপুরে নতুন কোন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়নি। এদিকে নতুন করে কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় নাই এবং কোন ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টাইন শেষও হয়নি। গত ৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ২৮৮ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে যার মধ্যে ২১৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়। এখন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদারীপুরে আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) নতুন করে কোন করোনা রোগী শনাক্ত না হওয়ায় কলয়ের পরিসংখ্যানবিদ মীর রিয়াজ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় নাই এবং কোন ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টাইন শেষও হয়নি। তবে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮ জন। এর মধ্যে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ৫ জন, কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন এবং রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন রয়েছে। এছাড়া শিবচরে চিকিৎসক ও তার সন্তান হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। মাদারীপুর থেকে ৩ এপ্রিল থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত ২৮৮ জনের নমুনা করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২১৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্ত না থাকায় মাদারীপুর জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা পূর্বের ২৫ জনই রয়েছে। এরমধ্যে শিবচর উপজেলার ১৭ জন, সদর উপজেলায় ৫ জন, রাজৈর উপজেলায় ২ জন এবং কালকিনি ১ জন।
রোনাভাইরাসে শনাক্ত সংখ্যা ২৫-এ আছে। মাদারীপুর সিভিল সার্জন কার্যামাদারীপুরে জেলায় আজও লকডাউন চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশকে করোনাভাইরাস সংক্রমন বিস্তার ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করায় সন্ধ্যায় ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে। মাদারীপুরের করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদারীপুর প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটি সচেষ্ট আছেন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শহরসহ গ্রামের সাধারণ মানুষদের ঘরে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও মাদারীপুর জেলায় লকডাউন কার্যকর করার জন্য প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিনা প্রয়োজনে কাউকে ঘর থেকে বের নাহতে প্রশাসন অনুরোধ করেছেন।