নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরিকৃত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুদি ও চা দোকান।
শনিবার ( ১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কোনো এক সময় এসব চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা মোকাবিলায় নোয়াখালী জেলা লকডাউন ঘোষণার পর থেকে উপজেলার প্রতিটি বাজারের ন্যায় চরবাটা ইউনিয়নের ২, ৫ ও ৮নং ওয়ার্ডের মুদি দোকানগুলো বিকেল পাঁচটার পর বন্ধ করা হয়। আর নিষেধজ্ঞা থাকায় বেশির চা দোকানগুলো সবসময়ই বন্ধ থাকে।
শনিবার রাতের কোনো এক সময় চরবাটা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তালতলা এলাকায় পাঁচটি, ৫নং ওয়ার্ড ভাঙাপোল এলাকায় তিনটি ও ৮নং ওয়ার্ড জনতা বাজার এলাকায় সাতটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরিকালে চোরদল দোকানগুলোর দরজার অংশ ভেঙে ভেতর থেকে মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানেন না। খবর নিয়ে জানাচ্ছেন। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চরবাটা ইউনিয়নে কয়েকটি ছোট মুদি ও চা দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সকালে দোকানদারদের থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।