চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস নিয়ে জনমনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে আশা জাগাচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগে ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণকাজ। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য এ হাসপাতালের নির্মাণকাজ জোরেশোরে শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, আগামি ১৩ দিনের মধ্যে এ হাসপাতাল চালু হবে। এতে ১২ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। আইসোলেশনে রোগী রাখার পাশাপাশি ভেন্টিলেটরসহ ২০ শষ্যার আইসিইউও হচ্ছে। এটি চালু হলে চট্টগ্রাম নগরে বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসাসেবার জন্য প্রথম হাসপাতাল হবে।
নগরের জাকির হোসেন সড়কের দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা বেসরকারি হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালেই চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি হাসপাতাল হচ্ছে। গত দুইদিন আগে এ হাসপাতালের কাজ শুরু হয়েছে। আগামি ২৫ এপ্রিলের আগে কাজ শেষ করা হবে। ২৫ এপ্রিল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে হাসপাতালটি চালু হতে পারে। এতে অর্থায়ন করছে চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক মালিক কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে নগরের বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা.লিয়াকত আলী খান গতকাল শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বলেন, বেসরকারি ১২টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের আইসিইউ প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে ও অর্থায়নে সম্পূর্ণ করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য এ হাসপাতাল করা হচ্ছে। এটি তিনতলা ভবন। সেটি সংস্কার করে করোনা হাসপাতাল করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। আইসিইউ শষ্যা থাকবে ১২টি।
এদিকে এ হাসপাতাল চালুকে সামনে রেখে এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার লক্ষে রবিবার দুপুরে নগরের টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কম্মেলন কক্ষে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভাগীয় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্ষালয়, জেলা সিভিল সার্জন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসা, টিএন্ডটিসহ সকল সরকারি ও আধাসরকারি সেবা সংস্থা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আনায়নে এ সমন্বয় বৈঠক বেলা ১ টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপরে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ বিএমএ এবং চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ ও উদ্যোক্তা বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ছিলেন।
চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে একটি পূর্ণাঙ্গ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল অচিরেই চালু হওয়ার পথে। এ হাসপাতাল আমাদের মাঝে সংকট উত্তরণের আশা জাগিয়েছে। এই হাসপাতালে থাকবে ভেন্টিলেটরসহ ২০ বেডের আইসিইউ ইউনিট।
মেয়র বলেন, এ হাসপাতালকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।