করোনা পরিস্থতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
শনিবার (৪ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করেছে সরকার।
তবে পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল ও ত্রাণবাহী পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
এতে আরও জানানো হয়, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত মরণঘাতী এ ভাইরাসে ১১ লাখ ১৮ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৯ হাজার ১৫৯ জন।সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ জন। মারা গেছেন ৮ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩০ জন।
শনিবার (৪ এপিল) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছর বয়সের নিচে দুই শিশু রয়েছে। তিন জনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দুজনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এক জনের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। আর অন্য এক জনের বয়স ৯০ বছর।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।