করোনার পরীক্ষা হবে কক্সবাজারেই

করোনাভাইরাসের জীবাণু পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে গড়ে তোলা হয়েছে ল্যাব। চলে এসেছে পরীক্ষার কিট ও আইইডিসিআর এর অভিজ্ঞ লোকজন। রোগীর শরীরে কোভিড-১৯ এর সব আলামত মিললেই করা হবে পরীক্ষা।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া বলেন, সারাদেশে করোনার জীবাণু টেস্টের জন্য ১৭টি পরীক্ষাগার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরমধ্যে আমাদেরটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীর স্যাম্পল ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে পাঠাতে হবে না। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজেই হবে করোনার টেস্ট। তবে রিপোর্ট ঘোষণা করা হবে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে।

ডা. অনুপম বড়ুয়া আরও বলেন, যতদূর জানি এ পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে কতক্ষণ লাগবে সেটা আমাদের এখানে পরীক্ষা করার পরই জানতে পারব। এ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জনের করোনা ভাইরাস জীবাণু টেস্ট করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, কোনো রোগী সরাসরি এখানে এসে টেস্ট করাতে পারবেন না। টেস্ট করাতে হলে রোগীর রক্ত, নাকের ফ্লু, থুথু ও অন্যান্য স্যাম্পল জেলা প্রশাসন, সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এখানে পাঠাতে হবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

তিনি জানান, প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই কিংবা কারো সন্দেহ হলেই এ টেস্ট করা হবে না। রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকজনকে প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে, এরপর আইসোলোশনে রাখা হবে। তারপরও যদি করোনা ভাইরাসের সবগুলো লক্ষণ তার শরীরে দেখা যায় তবেই পরীক্ষা করা হবে।

অধ্যক্ষ বলেন, এ টেস্ট করতে কক্সবাজারের কোনো চিকিৎসক এবং টেকনোলজিষ্ট কাজ করবে না। আইইডিসিআরের একটি অভিজ্ঞ দল কাজ করবে যারা অতীতেও এমন সংক্রামক ও জটিল রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে।

এদিকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, এ ভাইরাসের লক্ষণগুলো পরিপূর্ণ প্রকাশ পেতে ৪/৫ দিন সময় লাগে। জ্বর, শুষ্ক কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, কোনো কোনো সময় ডায়রিয়া হচ্ছে এ রোগের লক্ষণ। এটি অন্যান্য সংক্রামক ভাইরাসের চেয়ে একটু আলাদা। স্বাভাবিকভাবে এ ভাইরাস যুবক, তরুণ ও তরুণীদের ঘায়েল করতে পারে না যতটা বয়স্কদের দুর্বল করে দেয়। তাছাড়া ডায়াবেটিস, প্রেসার ও হার্টের রোগীদের জন্য এটি একটি মারাত্মক ভাইরাস

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জেলায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনার আলোকে সেই কমিটি একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ওই নিয়ম অনুযায়ী জেলায় সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হবে।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন