সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রাঙামাটিতে রাতে ত্রাণ বিতরণ

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখতে ও জনসমাগম এড়াতে রাতের বেলা খেটে-খাওয়া মানুষের ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। বুধবার (১ এপ্রিল) রাত আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত পার্বত্য জেলা শহরের রাঙাপানি লুম্বিনী পাড়া, সাধনাবিহার, যুবউন্নয়ন এলাকা ও ভেদভেদী আনসার ক্যাম্প এলাকার শতাধিক মানুষের মাঝে তিনি ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

এসময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) উত্তম কুমার দাশ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসলাম উদ্দিন, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রবি মোহান চাকমাসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, আমরা এ পর্যন্ত জেলা শহরসহ দশ উপজেলায় ত্রিশ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। আমাদের এই ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রম থেকে কোনো শ্রমিক, ভিক্ষুক দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ বাদ পড়বেন না। আমরা প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ইউএনওদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ত্রাণ সহায়তার জন্য কমিটি করা রয়েছে। কেউ যেনো একাধিবার ত্রাণ সহায়তা না পায় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।

রাতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, আমরা দিনের বেলাতেও ত্রাণ বিতরণ করেছি। কিন্তু দিনের বেলাতে লক্ষ্য করা যায়, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের কথা শুনে এলাকায় মানুষের উপস্থিতিতে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় থাকে না। আমরা যেহেতু মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিচ্ছি, সেখানে রাতের বেলাতে ত্রাণ সহায়তা দিতে জনসমাগম হয় না। এতে সরকারের যে ‘সামাজিক দূরত্ব’ নিশ্চিত করার নির্দেশনা সেটা নিশ্চিত করা যায়।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন