করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা দশ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহ থেকে তৈরি করবে আধুনিক ও মানসম্পন্ন পিপিই। জাতীয় প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়মিত কাজ বন্ধ রেখে মাস্ক ও পিপিই তৈরির এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায়, মাস্ক ও পিপিই’র সংকটে ভুগছে সারাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার ও জনসাধারণকে সহযোগিতা করতে সব ধরণের কার্যাদেশ বন্ধ করে মাস্ক তৈরি করছে, গাজীপুরের পোশাক কারখানা। রাজেন্দ্রপুরে অলিম্পিক ফ্যাশন নামের এ কারখানায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে, ৪৫ হাজার নন ওভেন সার্জিক্যাল মাস্ক। তিন স্তরের লেয়ারে তৈরি করা মাস্কগুলো করোনা মোকাবেলায় শতভাগ কাজ করবে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ এই কর্মকর্তা। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে পিপিইর কাজও।
গাজীপুর অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেড মহা-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, আমরা সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরি করছি। এটা শত ভাগ প্রোটেক্টিভ। প্রতিটা স্টেজে আমরা হাইজিনটা মেইনটেইন করছি।
অভিজ্ঞতা না থাকলেও, করোনা পরিস্থিতি মাথায় নিয়ে কম সময়ে শ্রমিকরা আয়ত্ব করে মাস্ক তৈরির কৌশল। এই কাজে অংশ নিতে পেরে খুশি তারা।
গার্মেন্টেসে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, দেশের জন্যে কাজ করতে পারছি এটা ভালো লাগছে। এটা ব্যবহার করে মানুষ উপকৃত হবে।
করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে জাতীয় প্রয়োজন বিবেচনায় জরুরি এ উদ্যোগ বলে জানান প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।
গাজীপুর অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, এ মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে মানবকল্যাণে এবং দেশের কল্যাণে মাস্ক তৈরি করার উপযুক্ত সময়। তাই আমি মাসবক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে ৮শ’ শ্রমিক ও কর্মকর্তা, করোনা প্রতিরোধে তিনটি স্তর হাতধোয়া, শরীরে জিবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্রা মাপার মাধ্যমে কারখানায় কাজ শুরু করেন।