গাংনী করমদীতে কৃষক হত্যার মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের আবু বক্কর শাহ হত্যা মামলার রায়ে ৮ ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ড দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আব্দুস সালাম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো- গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এনামুল হক, আবদুল লতিফের ছেলে জাহিদুল ইসলাম,মিলু শাহার ছেলে আব্দুল বারী, চেঙ্গাস শাহার ছেলে রমজান শাহ, মিলু শাহার ছেলে মোহাম্মদ শাহ, তৈয়বে আলির ছেলে সিরাজুল ইসলাম পচা, ইসমাইল হোসেনের ছেলে আলতাফ হোসেন এবং আমজাদ শাহার ছেলে মিন্টু শাহ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৪ জুন গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে আবুবক্কার শাহা সকাল ৭ টার দিকে করমদি মাঠে ঘাস কাটছিল, ওই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বক্কার শাহার উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বক্কার শাহা মারাত্মক আহত হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহত আবুবক্কার শাহার ছেলে শাহাবুদ্দিন শাহ বাদী হয়ে ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০২/৩৪৩০৭/১১৪ পেনাল কোর্ড ধারায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৬, সেশন ২১/২০১১। তারিখ ১৫/৬/২০১০। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সফিউদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম পর্যায়ক্রমে মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেন এবং আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এতে এনামুল হক, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল বারি, রমজান শাহ, মোহাম্মদ শাহ, সিরাজুল ইসলাম পচা, আলতাফ হোসেন ও মিন্টু শাহ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড,  প্রত্যেক কে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ী আরও এক মাসের করে কারাদন্ডাদেশ দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, কুষ্টিয়া থেকে এ্যাড. সুধীর শর্মা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে আ: সামাদ কৌশলী ছিলেন।
আসামী পক্ষের উকিল মো: কামরুল হাসান বলেন, এই রায়ে শুধু বাদি পক্ষের একতর্ফা কথা শোনা হয়েছে আসামী কোন কথায় গুরুত্বসহকারে শোনা হয়নি ।আমারা আসামী পক্ষ উচ্ছআদালতে আপিল করবো ও ন্যায় বিচার পাবো।
আসামি পক্ষের স্বজনরা জানান,  আমরা এই রায়য়ে সন্তুষ্ট নয় কখনও এক মামলায় সকল আসামিকে একই ধরনের সাজা দেয়া হয়েছে। এটা একতর্ফা রায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
উল্লেখ্য এই মামলার বাদি শাহাবুদ্দিন গত ৬ পুর্বে মৃত্যুবরন করায় তাদের পরিবারের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বার্তা প্রেরক
এ সিদ্দিকী শাহীন
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন