জাদিদ অটো মোবাইলসের মালিককে তলব দুদকের

জাদিদ অটোমোবাইলসের মালিক শামীমুজ্জামান কাঞ্চনকে তলব করেছে দুদক। বুধবার দুদক পরিচালক  মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত এক ‘অতীব জরুরি পত্রে’ তাকে তলব করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি  অভিযোগ কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

আরও বলা হয়, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে শামীমুজ্জামান কাঞ্চনের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। তাই অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রসহ (যদি থাকে) বক্তব্য প্রদানের জন্য তাকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার  কোন বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে। এ দিকে দুদক পরিচালক বুধবার একই অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বরাবর চিঠি দিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাওয়া উল্লেখযোগ্য তথ্যের মধ্যে রয়েছে- ১. কভিড মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেওয়া প্রকল্পের আওতায় জাদিদ অটোমোবাইলসের সরবরাহ করা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর তথ্য/চালান, প্রদানকৃত/পরিশোধকৃত বিলের তথ্য/যাবতীয় রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি; ২. স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্পাদিত চুক্তি সংক্রান্ত নথি ও নোটশিটের সত্যায়িত ফটোকপি; ৩. কভিড-১৯ সংক্রান্ত  ওই প্রকল্পের আওতায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দেওয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি/যন্ত্রপাতিসমূহের তথ্য, কোন কোন হাসপাতাল/প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণে সরবরাহ করা হয়েছে (প্রাপ্তি স্বীকারসহ) ও বর্তমানে কী পরিমাণ মজুত রয়েছে, তার আইটেম ভিত্তিক তথ্য এবং উক্ত প্রকল্পের আওতায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কী পরিমাণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে তার আইটেমভিত্তিক তথ্য ইত্যাদি। একই ধরনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকেও। এ সব রেকর্ডপত্র ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন