করোনা প্রতিরোধে ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা জানে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। টিকা কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালক ডা. শামসুল হক রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. শামসুল হক বলেন, ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম নিয়ে কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে আমাদের জানা নাই। তবে এটা নিয়ে সরকার যেহেতু চিন্তা করছে ভবিষ্যতে যদি কোনো পরিকল্পনা আসে সেটা আপনাদের জানাতে পারবো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
১৮ বছরের কম বয়সী মানুষদের ফাইজার কিংবা মডার্নার টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শামসুল হক বলেন, ১২ বছর বয়সীদের টিকাদানের বিষয়টি জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়। জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত পেলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি আমাদের নিবন্ধনের সংখ্যা অনেক বেশি। তিন কোটি ৮৪ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছে।
এখনো এক কোটি ৯৩ লাখ মানুষ টিকা পাননি। তাদের টিকা দেওয়াটা আমাদের প্রথম দায়িত্ব বলে আমরা মনে করছি। তাই আরও কেন্দ্র বাড়ানো যায় কি না আমরা সেই চেষ্টা করছি। সেই পরিমাণ জনশক্তি তৈরি করার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। এখন যেহেতু টিকার মজুদ বেড়েছে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজের টিকা আমরা প্রথমে দেবো। পরে আমাদের আরও টিকা আসার কথা, এলে তখন ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানাতে পারবো।