বিদ্যা লকডাউনে রান্না শিখলেন

লকডাউনের শুরুতে রান্নাবান্নায় একটু হাত পাকিয়েছিলাম। বলতে পারেন লকডাউনেই রান্নার হাতেখড়ি হলো। তারপর আর রান্নাঘরমুখো হইনি। ভাগ্যিস, আমার বাড়িতে রাঁধুনি আছে। তা নাহলে আমাকে আর সিদ্ধার্থকে (স্বামী সিদ্ধার্থ রয় কাপুর) অভুক্ত থাকতে হতো। শকুন্তলা দেবী ছবিতে গণিতের প্রচুর অনুষ্ঠানের দৃশ্য আছে। সেই সব দৃশ্যের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। শকুন্তলা দেবী গণিত বিশেষজ্ঞ ছিলেন। গণিতের যেকোনো সমস্যার সমাধান তাঁর ঠোঁটের ডগায় থাকত।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাবলীলভাবে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শকুন্তলা দেবীর মতো দ্রুত সংখ্যা গণনা করা ছিল আমার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। ‘শকুন্তলা দেবী’ চরিত্রে বিদ্যা বালানছাত্রজীবনে আপনি অঙ্কে কেমন ছিলেন? ছোটবেলা থেকেই আমি অঙ্কে ভালো। আমি যেকোনো সংখ্যা অনায়াসে মনে রাখতে পারতাম। সংখ্যা নিয়ে খেলা করতে ভালো লাগত। এই ছবির শুটিংয়ে গিয়ে আবার সেই খেলায় মেতে উঠেছিলাম। এ একটু কম কথা বলে (সশব্দে হেসে)। তবে সানিয়া অভিনেত্রী হিসেবে খুব ভালো। ফটোগ্রাফ, বাধাই হো ছবিতে সানিয়ার কাজ দারুণ লেগেছে। শকুন্তলা দেবী ছবিতে মা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখানো হয়েছে। বাস্তবে আপনার সঙ্গে আপনার মায়ের সম্পর্ক কেমন? আজ আমি যা কিছু হয়েছি, সবই আমার বাবা, মা, বোনেদের জন্য। আমার মা মানুষ হিসেবে খুবই শক্ত ধাঁচের। মা আমার অভ্যাস। তিনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা দিয়েছেন। আগে সবার সামনে সহজেই মাথা নত করার অভ্যাস ছিল আমার। মা আমাকে বলতেন, ‘বেশি মাথা নত করলে মানুষ মাড়িয়ে চলে যাবে। তাই মাথা উঁচু করে বাঁচতে শেখো।’ ২০০৮ সালে আমি সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

সে সময় আমার ওজন নিয়ে আমাকে অনেক কটু কথা শুনতে হচ্ছিল। মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিলাম। তখন মা আমাকে সাহস জুগিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এসব সমালোচনা শুনে আমি যদি আমার স্বপ্নকে ভেঙে ফেলি, তাহলে ভুল করব। মা বলেন, ‘স্বপ্নকে কোনো দিন হাতের বাইরে যেতে দিতে নেই।’ স্বপ্নকে ধাওয়া করে জেতার কথা উনি বলেন। যিশু খুবই মিষ্টি আর মজার মানুষ। ওর মধ্যে অদ্ভুত এক সরলতা আছে। সেটে সবাই এ কথা বলত। সেটে আমরা দুজনে হাসি-মজা করে সময় কাটাতাম। আমি, যিশু, শিলাদিত্য বাংলাতে কথা বলতাম।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন