মহামারি করোনাকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারাদেশের সব অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানি নিয়ে ৩০ কার্যদিবসে মোট ৪৪ হাজার ৮০২ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওইদিনই নিম্ন আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। ১১ মে প্রথমবারের মতো কুমিল্লার আদালতে এক আসামির জামিন হয়।
পরে ২৫ জুন পর্যন্ত মোট ৩০ কার্যদিবসের একটি বিবরণীতে দেখা যায়, ১২ মে ১৪৪, ১৩ মে ১০১৩, ১৪ মে ১৮২১, ১৭ মে ৩৪৪৭, ১৮ মে ৩৬৩৩, ১৯ মে ৪০৪২, ২০ মে ৪৪৮৪, ২৭ মে ৮৭৬, ২৮ মে ১৪৪৭, ৩১ মে- ৪ জুন ৬৫৪২,৭ ও ১১ জুন ৫৬৭৫, ১৪ ও ১৮ জুন ৬০৪৭, ২১ ও ২৫ জুন পর্যন্ত ৫৬০০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এরমধ্যে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।