‘করোনা নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট নিয়ে ঢুকতে হবে বাংলাদেশে

বিমানবন্দর দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের দেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা আগে ‘করোনা (কোভিড-১৯) নেগেটিভ’ অর্থাৎ ‘করোনায় আক্রান্ত নন’-এই মর্মে সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে ফিরতে হবে।

আগামী ১৬ জুন থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও কাতারে যাবে বাংলাদেশের ফ্লাইট। দেশে প্রবেশের পূর্বশর্ত হিসেবে এই আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই সার্কুলার পৌঁছে দিয়েছে বেবিচক। এতে স্বাক্ষর করেন বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড ও রেগুলেশন কমিটির সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মোহাম্মদ জিয়াউল কবির।

বিমানবন্দর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সার্কুলারে বিবেচক বলেছে, ১৬ জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেশগুলোর শিডিউল কোনো প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট বাংলাদেশে আসবে না। তবে বিশেষ ফ্লাইট (চার্টার) ও কার্গো ফ্লাইট আসতে পারবে। এসব দেশ ছাড়া অন্য দেশের প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট এবং এসব দেশ থেকে আসা বিশেষ ফ্লাইটে যারা দেশে ফিরবেন তাদের করোনা টেস্টের ফলাফল এবং সার্টিফিকেট আনা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়; ফলাফল নেগেটিভ আসতে হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, যাত্রী যে দেশের নাগরিকই হোক না কেন ‘করোনা নেগেটিভ’ সম্বলিত মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করা থাকতে হবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় এটি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। তবে যদি কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এই সার্টিফিকেট ছাড়া দেশে ফেরেন তাহলে বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।

‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসা প্রবাসী বাংলাদেশির কারো দেহে যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকে, তাহলেও তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে তাদের।’

এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর ও যশোরে রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন