কাঁচা আম ২০ টাকা, কমেছে বেগুন-কাঁচা মরিচের দামও

রোজার আগের একশ টাকা টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা আমের দাম কমে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে এখন ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রথম রোজায় বেড়ে যাওয়া বেগুন ও কাঁচা মরিচের দামও কিছুটা কমেছে। তবে বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রোববার (৩ মে) রাজধানীর মালিবাগ হাজীপাড়া বৌ-বাজারে ২০ টাকা কেজি আম বিক্রি করা মিলন বলেন, কাঁচা আম বাজারে আসা দুই সপ্তাহ পার হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বাজারে আমের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে। শুরুর দিকে এই আমের কেজি একশ টাকা বিক্রি করেছি। এখন তা ২০ টাকায় বিক্রি করছি। দাম যেমন কমেছে, বিক্রিও তেমন বেড়েছে।

এ ব্যবসায়ী বলেন, এখন কাঁচা আম কিনে অনেকে ডাল দিয়ে রান্না করে খাচ্ছেন। আচার দেয়ার জন্যও অনেকে কিনছেন। কারণ এ আমের আটি শক্ত হয়েছে। আর আমের আটি শক্ত হলে সেই আম দিয়ে আচার করা যায়। আবার অনেকে ইফতারিতে জুস করে খাওয়ার জন্যও কাঁচা আম কিনছেন।

তবে রামপুরা বাজারে একটু বেশি দামে কাঁচা আম বিক্রি করতে দেখা যায়। বাজারের ব্যবসয়ীরা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে কাঁচা আম বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, ২০ টাকা কেজি যে আম বিক্রি হচ্ছে তা ঝড়ে পড়া। আর আমাদের এ আম গাছ থেকে পাড়া। আমাদের আম যেমন টাটকা, তেমনি স্বাদও বেশি। ভালো জিনিস নিতে হলে দাম তো একটু বেশি দিতেই হবে।

এ ব্যবসায়ী বলেন, কিছুদিন আগেও এক কেজি আম একশ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন দাম কমে অর্ধেকে নেমেছে। সামনে আরও দাম কমবে। তখন যে আম পাওয়া যাবে তার সবগুলোই হবে শক্ত আটির। এ আম দিয়ে আচার তৈরি হবে। এখনকার আম দিয়েও আচার হবে। তবে কিছুদিন পরে যে আম পাওয়া যাবে সেই আমের আচার ভালো হবে।

পুষ্টি ও ভিটামিনে ভরপুর কাঁচা আম ও এর শরবত দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। ফলে এক শ্রেণির মানুষের কাছে কাঁচা আমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

তলতলা বাজার থেকে কাঁচা আম কেনা খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা কালাম বলন, কাঁচা আমের জুস খুব পছন্দ। দোকন থেকে এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস ৮০-১০০ টাকা নেয়। এখন জুসের দোকান বন্ধ। এছাড়া বাজারে কাঁচা আমের দামও কম। এক কেজি আম ৪০ টাকা। এ আম দিয়ে কয়েক গ্লাস জুস হবে। পরিবারের সবাই মিলে ইফতারিতে খেতে পারবো।

এদিকে রোজার প্রথম দিনে হুট করে বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচ, বেগুন ও শসার দাম কিছুটা কমেছে। রোজার প্রথম দিন ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুন ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর ১২০ টাকায় উঠে যাওয়া কাঁচা মরিচ ৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

এই তিন পণ্যের দাম কমলেও বেশিরভাগ সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আগের মতো করলা ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, পাকা টমেটো ২০-৪০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদার দাম কমে ১৮০-২০০ টাকায় নেমেছে। রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা, যা রোজার প্রথমে ছিল ১৭০-১৮০ টাকা।

রামপুরা মোল্লাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী রাজু বলেন, প্রথম রোজায় বেশি চাহিদা থাকায় বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেড়েছিল। তবে কয়েকদিন ধরে দাম কমেছে। দু-একটি বাদে এখন বেশিরভাগ সবজির দাম কম। তবে কয়কদিন ধরে যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে সামনে কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে যেতে পারে। করণ বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচ ও সবজির ক্ষতি হয়।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন